বিনয় তামাং, বিমল গুরুংকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের খবর ফাঁস! ফের কবে যাবেন পাহাড়ে, জানালেন দিলীপ
আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে সভা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh) । এদিন মাদারিহাটে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেখান থেকে ফেরার সময় তাঁর কনভয়ের ওপরে হামলা হয়। এরপর কালচিনির সভায় যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, জনতার পাশে রয়েছে বিজেপি (bjp) ।

ভঙ্গ হয়েছে প্রোটোকল! রাজ্য প্রশাসনে রাজনীতিকরণের অভিযোগে ফের সরব রাজ্যপাল ধনখড়

জনতার পাশে বিজেপি
আপনারা দেশের নাগরিক। নরেন্দ্র মোদী আপনাদের জন্য চিন্তা করেন। আপনাদের উন্নয়ন আর ভাষার সমস্যা নিয়ে চিন্তা করে বিজেপি। আপনাদের সন্তানরা যাতে চাকরি, ব্যবসার সুযোগ চায় সেই জন্য কাজ করছে বিজেপি। তারা জনতার পাশেই রয়েছেন। কালচিনিতে দলের সভা থেকে এই বার্তাই দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

পাহাড়ে বিনয়, ডুয়ার্সে বিমল
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল যে রাজনীতি করছে তাতে পাহাড়ে রাজনীতি করবেন বিনয় তামাং আর ডুয়ার্সে বিমল গুরুং। প্রসঙ্গত বিমল গুরুং ইতিমধ্যেই বলেছেন, পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুং-এর কোনও স্থান নেই। অন্যদিকে বিমল গুরুং ডুয়ার্সের বেশ কিছু আসনে তার প্রভাবের কথা স্মরণ করিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চেয়েছেন। বলেছেন, ২০২১-এর নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান।

জিটিএ-তে লাভ হয়েছে বেশ কিছু নেতার
দিলীপ ঘোষ বলেন, জিটিএ-র গঠনে সাধারণ মানুষের কোনও উপকার হয়নি। তাঁরা যে অন্ধকারে ছিলেন, শোষিত, বঞ্চিত ছিলেন, সেখানেই রয়ে গিয়েছেন। কিন্তু উপকার হয়েছে বেশ কিছু নেতার। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়া জরুরি, মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। সেটা বিজেপির দ্বারাই সম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, পাহাড়ে চাকরি নেই। পাহাড়ে ওষুধ নেই। কেন এই পরিস্থিতি প্রশ্ন করেন দিলীপ ঘোষ।

পাহাড়ে হামলার কথা উল্লেখ, পাল্টা হুঁশিয়ারি
এদিন দিলীপ ঘোষ কালচিনির সভা থেকে দার্জিলিং-এ তাঁর ওপর হামলার কথা উল্লেখ করেন। সেই সময় কোনও নেতার যাওয়ার সাহস ছিল না। সেই সময় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পিছনে গুণ্ডা লাগানো হয়েছিল। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছে। পাহাড়ের মানুষের সুখ-দুঃখ দেখতে তিনিই গিয়েছিলেন। দরকার পড়লে সামনের মাসে তিনি ফের পাহাড়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।

ন্যুনতম সহায়ক মূল্য পাচ্ছেন না পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
কেন্দ্রীয় সরকার ধানের সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে সারা দেশের জন্য। করা হয়েছে কুইন্টার পিছু ১৮৬৮ টাকা। কিন্তু বাংলার কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বাংলার কৃষকরা কুইন্টার পিছু ১২০০ টাকার বেশি পান না। বাকি টাকা অন্য লোকে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিচ্ছে কিন্তু কৃষকরা তা পাচ্ছেন না। তিনি এব্যাপারে কেন্দ্রীয় প্রকল্প কৃষক সম্মান নিধির কথাও উল্লেখ করেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, যতদিন দিদি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন এই সুবিধা কেউ পাবেন না। রাজ্যে চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ নেই বলেও অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। সেই কারণে মানুষকে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে যেতে হয়। লকডাউন শুরু হওয়ার পর সেই চিত্র সামনে এসেছে বলে উল্লেখ করেন দিলীপ ঘোষ।