মৃত্যু থেকে জন্ম, মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজনীতি করেন সর্বত্র! হিসেব দিলেন দিলীপ ঘোষ
৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে লকডাউন। সেই সঙ্গে রাত সাতটে থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারির কথা জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে দেশজুড়ে লকডাউন। সেই সঙ্গে রাত সাতটে থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারির কথা জানিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে নাইট কার্ফু বলে কিছু থাকবে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে খুবই বিপজ্জনক।
বাড়িতে থাকার অভ্যাস নেই! করোনা লকডাউনে 'খেলাটা' বিপজ্জনক হবে, মমতাকে হুঁশিয়ারি দিলীপের
নাইট কার্ফু না মানা নিয়ে প্রশ্ন
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, সারা দিন পুলিশ কর্মীরা কাজ করছেন। একটু স্বস্তি দিতেই নাইট কার্ফু চালু করা হয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ঠিক করে নেন, তিনি মানবেন না, যে যা ইচ্ছা কর সব ঠিক আছে, আর তথ্য লুকিয়ে জানতেই দেবেন না বিপদটা কতদূর, সেই মানসিকতা নিয়েই উনি বলছেন। দিলীপ ঘোষের মতে এটা মোটেও ঠিক নয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছেই বিপজ্জনক পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
না খেতে পাওয়ার থেকে প্রাণ যাওয়াটা কষ্টকর
দিলীপ ঘোষ বলেন. না খেতে পাওয়ার থেকে প্রাণ যাওয়াটা কষ্টকর। কোনও পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তি মরে গেলে পরিবারটা রাস্তায় বসবে। সেই পরিবারের ভরনপোষণের দায়িত্ব কে নেবে, প্রশ্ন করেন তিনি। দিলীপ ঘোষের দাবি, সেই কারণে মানুষ কষ্ট সত্ত্বেও সব কিছু মেনে নিয়েছেন।
এতেও রাজনীতি
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ লকডাউনের মধ্যেও সব কিছু খোলার পিছনেও রাজনীতি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলবেন, তোমাদের জন্য সব কিছু খুলে দিলাম। এইভাবে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।
মৃত্যু থেকে জন্ম, রাজনীতির অভিযোগ
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ মৃত্যু থেকে জন্ম, রাজনীতি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর মুখে এই সময় রাজনীতি না করতে বলার আহ্বান মানায় না। তাঁর অভিযোগ অন্নপ্রাসন থেকে বিয়েবাড়ি সব জায়গায় রাজনীতি করেন তিনি। জঙ্গলমহলে কেউ মারা গেলেও, তাঁর লাশ কলকাতায় এনে রাজনীতি করেছেন তিনি। তিনি বলেন সিঙ্গুরে হাইওয়ে বন্ধ করে রাজনীতি, বিধানসভায় চেয়ার টেবিল ভেঙে রাজনীতি করেছেন তিনি।