'শ্রমিকরা রেল লাইনে শুয়ে থাকলে তার দায় কেন্দ্রের নয় ',বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ
'শ্রমিকরা রেল লাইনে শুয়ে থাকলে তার দায় কেন্দ্রের নয়',বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ
ঔরঙ্গাবাদের ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেছেন, রেললাইনে শ্রমিকরা শুয়ে থাকলে তার দায় কেন্দ্র নয়। এমনকী তিনি বলেছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের দায় কেন্দ্র নয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ঔরঙ্গাবাদে ট্রেন দুর্ঘটনা
মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে ট্রেন কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। রেললাইন ধরে মহারাষ্ট্র থেকে মধ্য প্রদেশে ফিরছিলেন তাঁরা। রাতে ক্লান্ত হয়ে রেললাইনের উপরেই ঘুমিয়ে পড়েন। মালগাড়িতে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একাধিক শ্রমিক। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
দিলীপের বিতর্কিত মন্তব্য
ঔরঙ্গাবাদে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করলে চলবে না। শ্রমিকরা রেললাইনে শুয়ে থাকলে তার দায় কেন্দ্রের নয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের দায়িত্ব কেন্দ্রের নয়। এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্টে রাজ্যকেই এর জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে রাজ্য সরকারগুলি যথাযথ পদক্ষেপ করছে না বলেই তাঁদের এই পরিণতি হচ্ছে। রাজ্য সরকাররে রাজ্যে কাজ দিতে পারছে না বলেই শ্রমিকদের অন্যত্র গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
শ্রমিক ট্রেনে ফেরানো হচ্ছে পরিযায়ী
এদিকে তৃতীয় দফার লকডাউনে শ্রমিক ট্রেনে বিভিন্ন রাজ্য আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন রাজ্য এসে পৌঁছেছে। কেরল এবং রাজস্থান থেকে দুটি ট্রেন শ্রমিকদের নিয়ে ফিরে এসেছে রাজ্যে। কর্নাটকে এখনও আটকে রয়েছেন বাংলার শ্রমিকরা। তাঁদের ফেরানোর অনুমতি দেয়নি মমতা সরকার। মহারাষ্ট্র থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানো হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সংকটে পরিযায়ী শ্রমিকরা
গতকালই একটি চাঞ্চল্য কর তথ্য উঠে এসেছে। করোনা লকডাউনে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে গিয়ে প্রায় ৪২ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সেই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এখনও অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংক্রমণের তৃতীয় দিনেই ঘ্রাণ শক্তি লোপ পাচ্ছে বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তেই, বলছে গবেষণা