বাংলায় এনআরসির দাবি ধরে রেখেই পুরভোটের ময়দানে বিজেপি! অবস্থান স্পষ্ট করে কোন বার্তা দিলীপ ঘোষের
'যদি বাংলায় তৃণমূলকে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে তাহলে তা বিজেপি।' এভাবেই হুঙ্কার দিয়ে পুরভোটের আগে সুর চড়িয়েছেন বঙ্গ বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ। বাংলার এনআরসির দাবিতে ফের একবার সরব হলেন বঙ্গবিজেপির প্রধান দিলীপ ঘোষ। বাংলার জনগণের আনুপাতিক হারে যাতে সমতা থাকে , তার চেষ্টাতেই এবার বঙ্গ বিজেপি। এনআরসি নিয়ে যখন বিজেপির জোট সঙ্গী জেডিইউয়ের সরকার বিহারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধাচারণ করছে, তখন ২০২১ ভোট তথা পুরভোটের আগে সদর্পে বাংলায় এনআরসির দাবি জোরালো করলেন দিলীপ ঘোষ।
'এনআরসির দাবি করে যাব'
দিলীপ ঘোষ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমি বাংলায় এনআরসি নিয়ে দাবি করেই যাব। এটা প্রয়োজন রাজ্যের সংস্কৃতি ও জনসংখ্যার ক্ষেত্রে। বাংলার পরিস্থিতি অসমের থেকেও খারাপ। ' পুরভোটকে সামনে রেখেই এমন দাবিতে সরব হন বঙ্গ বিজেপির প্রধান ।
২০২১ এ ভাবধারার যুদ্ধ হবে
দিলীপ ঘোষ জানান, ২০২১ সালে যে বিধানসভা ভোট হবে, তা মূলত ভাবধারার লড়াই হবে। বিজেপির দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেমন এই লড়াইয়ে জবাব দেবে মানুষ, তেমনই রাজ্য়ের গণতন্ত্রহীন পরিস্থিতির মোকাবিলাতেও এই ভোটের ফলাফল জবাব দেবে। আর সেই লক্ষ্য সামনে রেখে কার্যত এনআরসি-র মতো বিষয়কে সঙ্গে নিয়েই ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে বিজেপি।
কট্টরপন্থার রাস্তায় এখনও অনড়
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ, তথা ঝাড়খন্ড নির্বাচনের আগে থেকে নাগরিকত্ব ইস্যুতে কোণঠাসা বিজেপি যেভাবে পর পর বিধানসভা ভোট হেরেছে, তাতে বাংলায় পুরভোটের আগে কট্টর হিন্দুত্বের পথে বিজেপি হাঁটবে কি না তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। আর এবার সেই জল্পনা থামিয়ে দিলীপ ঘোষ নিজেই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন।
তৃণমূলের তোপ
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য ঘিরে তৃণমূলের তরফে তাপস রায় বলেন, ' ওঁকে বলতে দিন। উনি যত বেশি বলবেন ততই আমাদের পক্ষে ভালো। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন যে , এনআরসি বাংলায় হবে না।'
তৃণমূল জমি হারিয়েছে, দাবি দিলীপ ঘোষের!
দিলীপ ঘোষের সামনে যে ২০২১ নির্বাচন পাখির চোখ, তা বারবার স্পষ্ট করেছেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটেই বাংলায় জমি হারিয়েছেন। এককালে আরএসেশ -এ থাকা পদ্মশিবিরের নেতার দাবি ' ২০১৫ সালে আমাদের ৩০ শতাংশের কম কমিটি ছিল ৭৮০০ পোলিং বুথের প্রেক্ষিতে। এখন ৮০ শতাংশ বুথকে কেন্দ্র করে কমিটি রয়েছে। গত ৫ বছরে ৩৫০ জন কর্মী বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে সম্পূর্ণ সময় বিজেপিকে দিচ্ছেন। এরমধ্যে রয়েছেন আরএসএস স্বয়ং সেবকরাও। .. '
বাম সংগঠকদের থেকে শিক্ষা
পুরভোট তথা বিধানসভায় লড়তে যে মাটি শক্ত করার কাজ বিজেপি এতক্ষণে শুরু করেছে , তা স্পষ্ট করে দিলীপ ঘোষের দাবি, বামদলগুলির যে নেতারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন,তাঁদের কাছ থেকে সাংগঠনিক বেশ কিছু পন্থা শিখে রাখছে বিজেপি। বামেদের তরফে নেতাদের বিজেপিতে যোগদান লাভজনক হয়েছে বলেও জানান তিনি।দিলীপ ঘোষের দাবি, সমস্ত ধরনের নির্বাচনে তাঁরা ৩৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকবেন। বিজেপির বঙ্গ প্রধানের হুঙ্কার 'যদি বাংলায় তৃণমূলকে কেউ চ্যালেঞ্জ করেত পারে তাহলে তা বিজেপি।'