আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের ভাত খাবেন তৃণমূল নেতারা! ২০২১-এ কীভাবে নির্বাচন স্পষ্ট করলেন দিলীপ ঘোষ
আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের ভাত খাবেন তৃণমূল নেতারা! ২০২১-এ কীভাবে নির্বাচন স্পষ্ট করলেন দিলীপ ঘোষ
তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh) এদিন তিনি চিংড়িহাটায় চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন। সেখান থেকেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। পাশাপাশি এদিন তাঁর আক্রমণে লক্ষ্য ছিলেন তৃণমূল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর (prashant kishor) ।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে সরব দিলীপ ঘোষ
বিজেপি ক্ষমতায় এলে, ইডিকে দিয়ে তৃণমূলের নেতাদের সম্পত্তি খুঁজে বের করা হবে। তারপর তাঁদের জেলের ভাত খাওয়ানো হবে। এদিন সকালে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, নিউটাউনে তৃণমূল নেতাদের ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার স্কোয়ার ফিটের ফ্ল্যাট রয়েছে। সেইসব তথ্য তুলে দেওয়া হবে ইডির হাতে। এরপর তৃণমূল নেতাদের স্থান হবে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে।
প্রশান্ত কিশোরকে খোঁচা
মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠক। তার আগেই শহরে চলে এসেছেন, রাজ্যের আরও দুই দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা অমিত মালব্য এবং সুনীল দেওধর। বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমিত মালব্যকে। অন্যদিকে বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক সুনীল দেওধরকে হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে মন্তব্য করতে দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে কাজ চালায় না। বিজেপি রক্ত ও ঘাম দিয়ে কাজ করে। তথ্য প্রযুক্তির ওপরে বিশেষ ভাবে যোগ দেওয়ার কারণে অমিত মালব্যকে রাজ্যের দায়িত্বে আনা হয়েছে।
মমতার সরকারকে কটাক্ষ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে ২ লক্ষ বেকার যুবকের হাতে মোটরবাইক তুলে দেওয়া হবে। বলা ভাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে মোটরবাইক কিনতে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে। মোটরবাইক হাতে পাওয়ার পর বেকার যুবকরা যাতে চাকরি ও ব্যবসা করে সাবলম্বী হতে পারেন, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, ওই মোটরবাইকের তেলের খরচ যোগাবে কে? কর্মসংস্থানের ওপরে জোর না দিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর অভিযোগও করেছেন তিনি।
বাম, কংগ্রেসের জোট নিয়ে কটাক্ষ
এদিনই রাজ্যে জোট নিয়ে দ্বিতীয় বৈঠকে বসতে চলেছে বাম ও কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গ প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলায় মানুষ বিজেপিকেই চাইছে। তাঁর মতে বাংলায় জোটের কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে বাম ও কংগ্রেসের কোনও ভবিষ্যত নেই রাজ্যে।
রাজ্যে ভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। রাজ্য পুলিশকে ভোট কেন্দ্রের ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না। এর আগেও দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ভোট কেন্দ্র থেকে ১০০ মিটার দূরে থাকবে রাজ্যের পুলিশ।
তিন জেলার দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যে বিজেপির ত্রিপুরা জয়ের কাণ্ডারী! টার্গেট উল্লেখ করে মোদী, শাহের স্তুতি