বঙ্গ-বিজেপিতে বড় সাংগঠনিক পরিবর্তনের আভাস দিলেন দিলীপ ঘোষ
বঙ্গ-বিজেপিতে বড় সাংগঠনিক পরিবর্তনের আভাস দিলেন দিলীপ ঘোষ
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গেরুয়া ঝড় রুখে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করেছেন , 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়'। হারের পর থেকে দলীয় কর্মীদের একাংশ দাবি করেছিলেন বঙ্গ-বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলের। এবার সেই দাবিকেই আমল দিতে চলেছে বিজেপি? সম্প্রতি সংগঠনে বদলের কথা শোনালেন দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'দলীয় সভাপতি এবং জেনারেল সেক্রেটারি শীঘ্রই বৈঠকে বসবেন। শীঘ্রই কিছু সাংগঠনিক রদবদল দেখা যাবে। এখন প্রায় দেড় বছর বাদে কার্যনির্বাহী বৈঠক হচ্ছে।' বিজেপি সূত্রে খবর, বৈঠকটিতে দিলীপ ঘোষ তো বটেই, উপস্থিত থাকবেন জে পি নাড্ডা সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ ভার্চুয়ালি সেই বৈঠকে যুক্ত হবেন রাজ্য নেতৃত্ব।
বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর থেকেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে বিজেপি। বহু নেতা দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কিছু জায়গায় শাসকদলের দাপটে গেরুয়া সংগঠন প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে কিভাবে সংগঠন সামলানো হবে, আগামী পুরভোট সহ উপনির্বাচনগুলিতেই বা দলের নীতি কী হবে, সমস্ত কিছু নির্ধারিত হবে বৈঠকটিতে।
পেট্রোল-ডিজেলের দামে কমতির পর কলকাতায় আজ দর কত! একনজের মেট্রো শহরগুলির মূল্য একনজরে
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ ডাঃ সুকান্ত মজুমদার৷ অন্যদিকে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পদ পেয়েছেন দিলীপ ঘোষ। দলীয় সূত্রে খবর চলতি বছরের জুলাই মাসে তাঁর উত্তরসূরী হিসেবে সুকান্তের নামই সুপারিশ করে এসেছিলেন দিলীপ। অনেকেই মনে করছেন, সাংগঠনিক রদবদলেও প্রভাব থাকছে দিলীপেরই।
অন্যদিকে প্রবীণ বিজেপি নেতা তথাগত রায়কে নিয়েও অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। দল পরিচালনা নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেছেন ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি আক্রমণ করেছেন রাজ্য নেতৃত্বকে। তার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ বলেন, 'তথাগত রায়ের বক্তব্যের কোনও গুরুত্ব নেই। উনি দলীয় কোনও পদেও নেই। এটা নিয়ে আমাদের দলের মাথাব্যথাই নেই।'