ত্রিপুরায় পদ্ম ফুটেছে ৮ মাসে, মমতার ‘কষ্ট’ লাঘব করতে দিলীপের লক্ষ্যমাত্রা ছ’মাস
আগামী ছ’মাসের মধ্যেই তিনি পরিবর্তনের সূচনা করতে চান বাংলায়। ত্রিপুরা জয়ের পর এবার টার্গেট বাংলা। ত্রিপুরায় ‘চলো পাল্টাই’য়ের পর মিশন বাংলা বিজেপির।
আটমাসের গেরুয়া-ঝড়ে ত্রিপুরায় পরিবর্তন এনেছে বিজেপি। রাজ্যকে পাল্টাতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লক্ষ্যমাত্রা রাখলেন ছ'মাসের। আগামী ছ'মাসের মধ্যেই তিনি পরিবর্তনের সূচনা করতে চান বাংলায়। ত্রিপুরা জয়ের পর এবার টার্গেট বাংলা। ত্রিপুরায় 'চলো পাল্টাই' স্লোগানে সাড়া দিয়েছেন মানুষ, এ রাজ্যেও পরিবর্তনের পরিবর্তন লাভে ইতিমধ্যে 'মিশন বাংলা'র কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ডেও ইতিহাস তৈরির পথে বিজেপি! এনপিএফকে হারিয়ে সরকার দখল সময়ের অপেক্ষা ]
এদিন ত্রিপুরায় বিপুল বিজয় লাভের পর দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে সিপিএমের হারে সিপিএম বা বামফ্রন্ট যত না কষ্ট পেয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একদিন আগেই বলেছিলেন, ত্রিপুরায় সিপিএম জিতলেই বেশি খুশি হবেন। এই কথাতেই তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন বিজেপিকে রুখতে সিপিএমকে বাঁচিয়ে রাখতে চাইছে তৃণমূল।'
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, 'উত্তর-পূর্ব ভারতের আরও তিন রাজ্যে বিজেপির সরকার হতে চলেছে। ত্রিপুরায় বিজেপি লাল দুর্গের পতন ঘটিয়ে সরকার গড়তে চলেছে। আর নাগাল্যান্ডেও বিজেপি-জোট সরকার গড়ার পথে এগিয়ে। মেঘালয় ত্রিশঙ্কু। এই অবস্থায় তিন রাজ্যেই যদি বিজেপি সরকারের অংশ হতে পারে, দেশের ইতিহাসে তা হবে অন্য রেকর্ড। কেননা ২২টি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা দখল করবে তাহলে। এছাড়া বাকি ৫টি রাজ্যে ইউপিএ ক্ষমতায় রয়েছে।
আর ত্রিপুরার এই জয়কে এক কথায় মিরাকল বলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। এক শতাংশ থেকে ভোট বাড়িয়ে এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ করতে পারে একমাত্র বিজেপিই। তা ফের দেখিয়ে দিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের নির্বাচন। মোদীজির নেতৃত্বে যে কংগ্রেস মুক্ত দেশ হওয়ার পথে ক্রমশ এগোচ্ছে ভারত, তা প্রতিটি নির্বাচনের ফলাফলই ইঙ্গিত দিয়ে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন:ত্রিশঙ্কু অবস্থার দিকে এগোচ্ছে মেঘালয়, সরকার বাঁচাতে দিল্লি থেকে কংগ্রেস নেতাদের ছুট ]