দিল্লির কাছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বে পরিবর্তন চেয়ে দরবার! হাসপাতাল থেকেই বয়ান দিলীপের
সুস্থ হয়ে প্রাত্যহিক রাজনৈতিক জীবনে ফিরতে লাগবে কমপক্ষে একমাস। দিলীপ ঘোষের শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই। ফলে দুটি আসনের উপনির্বাচনের জন্য হাসপাতাল থেকেই জারি করলেন বিবৃতি।

মুকুল রায় বিজেপি যোগ দেওয়ার পর গুজব ছড়িয়েছিল বিজেপি ছাড়তে চান দিলীপ ঘোষ। কেননা মুকুল রায়কে দলে নেওয়ার পক্ষে নাকি সায় ছিল না বিজেপির বঙ্গ-ব্রিগেডের। শোনা যায় দিলীপ ঘোষ নাকি বলেছিলেন তিনি আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকতে চান না। মুকুল রায়কে দলে নেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নাকি তাঁর সঙ্গে কথা বলেনি। এমনটাই শোনা গিয়েছিল। পরে মুকুল রায়কে বরণ করে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন মুকুল রায় নয়, তাঁর হাত ধরেই ভাঙবে তৃণমূল।
অসুস্থ দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ফের গুজব বিজেপিতে। সরস্বতী পুজোর দিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই অপারেশনও হয় তাঁর। আপাতত বিপন্মুক্ত হলেও, তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ফেরা নিয়েই গুজব ছড়ায়।
জানা গিয়েছে, দিলীপ ঘোষ আদৌ রাজনীতির মূল স্রোতে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন দলেরই কেউ কেউ। তাঁকে দলের নেতৃত্বে রাখা ঠিক হবে না বলেও, নাকি জানিয়েছিলেন অনেকে। দিল্লিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন চেয়ে নাকি দরবারও করা হয়। বিষয়টি পৌঁছে যায় দলের সভাপতি অমিত শাহের কানেও। তাঁর তরফেও ফোন করে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও চেয়ে পাঠানো হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেনি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং বিব্রত দিলীপ ঘোষ। সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার জন্য দিলীপ ঘোষকে দুইমাস বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু একমাসের মধ্যেই রাজনৈতিক জীবনে ফিরতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ। অসুস্থ অবস্থাতে হাসপাতাল থেকেই উলুবেড়িয়া সংসদীয় আসন এবং নোয়াপাড়া বিধানসভা আসনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।