‘তৃণমূলের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বলি অমিতাভ’, দিলীপের নিশানায় ফের মমতা
একদিন আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন, বিমল গুরুংকে প্রাণে মারার চক্রান্ত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বললেন অমিতাভের মৃত্যুর জন্য দায়ী রাজ্য সরকার।
পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার ফের তিনি বলেন, অমিতাভ মালিক তৃণমূলের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বলি। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই জুনিয়র পুলিশদের মুত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তাঁর।
একদিন আগেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন, বিমল গুরুংকে প্রাণে মারার চক্রান্ত করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়ে একাধিপত্য স্থাপন করতেই রাজ্য প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ষড়যন্ত্র রচনা করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এদিন তিনি বিস্ফোরক দাবি করে জানান, অমিতাভ তৃণমূলের উচ্চাকাঙ্ক্ষার বলি হয়েছেন। পাহাড়ে বিমল গুরুং-বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে অপ্রশিক্ষিতদের গোলা-বারুদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গতদিনে অমিতাভ মালিকের কথা উল্লেখ করেননি তিনি। বিমল গুরুংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দ্ব্যর্থহীনভাষায় বিঁধেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এ প্রসঙ্গে পর্যঠনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, সহানুভূতির হাওয়া টানতেই অমিতাভ মালিককে নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন তিনি। দিলীপবাবু ভিত্তিহীন কথার উপরই চলেন। পাহাড়ে এসে উত্তাপ ছড়িয়ে গিয়েছেন। সমতলে গিয়েও সেই চেষ্টা জারি রেখেছেন। এক তরুণ পুলিশ অফিসারের শহিদ হওয়া নিয়েও তিনি রাজনীতি করতে ছাড়ছেন না। ওনাকে স্পষ্ট করে বলতে হবে বিমল গুরুংয়ের কার্যকলাপ তিনি সমর্থন করেন কি না।
গৌতমবাবু বলেন, 'পাহাড়ে অশান্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রথম থেকে দায়ী করে আসছিলেন দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি নেৃতৃত্ব। দীর্ঘ তিনমাস পর পাহাড়ে শান্তি ফিরেছে। তা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মমতারই উদ্যোগে। এরপর দিলীপ ঘোষ পাহাড়ে যাওয়ার দিন ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল, তাঁর বিরুদ্ধে গো-ব্যক ধ্বনিতে। বৃহস্পতিবার রাতে ফের বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে পাহাড়ে রক্ত ঝরল। এক পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হল, জখম হলেন বেশ কয়েকজন। পাহাড়ে হিংসার ঘটনায় তাহলে তারা জড়িত? উত্তর দিন দিলীপবাবুরা।'