
'অনেকেই কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করে আসেন', মমতাকে শুভেন্দু'র প্রমাণ নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ দিলীপ
তীব্র সংঘাতের মধ্যেই শুক্রবার সৌজন্যের নজির দেখেছে বাংলা! বিধানসভাতে সবাইকে চমকে হঠাত করেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিজের ঘরে ডেকে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনে মধ্যে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে নাকি ঢুকতেই সুপ্রিমোকে প্রণাম করেন শুভেন্দু। এমনকি প্রমাণ করেন অগ্নিমিত্রা পালও। পালটা ভাই বলে বিরোধী দলনেতাকে সম্বোধন করেছেন প্রশাসনিক প্রধানও। দুজনের এহেন্ম সৌজন্য সাক্ষাৎই এখন বাংলার রাজনীতিতে বড় 'গসিপ'!

হঠাত কেন এমন মন্তব্য?
আর এই নিয়ে চর্চার মধ্যেই মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। কার্যত বিরোধী দলনেতার দিকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যই ছুঁড়ে দিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় নেতার দাবি, পুরানো সম্পূর্ণ রয়েছে ওদের মধ্যে। অনেকেই কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করে আসেন। আর শুভেন্দু ওখানে করেছেন। আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। হঠাত কেন এমন মন্তব্য? এভাবে মমতার পা ছোঁড়া কি মেনে নিতে পারলেন না প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি?

কি বোঝালেন দিলীপ ঘোষ?
অনেকেই কালীঘাটে গিয়ে প্রণাম করে আসেন বলতেই বা কি বোঝালেন দিলীপ ঘোষ? তা নিয়েও শুরু হয়েছে চর্চা। রাজনৈতিকমহলের মতে, ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ি পৌঁছে গেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এমনকি সেখানে ছিলেন মুকুল রায়ও। যিনি কিনা দীর্ঘ কয়েক বছর ফোঁটা নিতে কালীঘাটে যান। এমনকি এই বিষয়ে অন্যদের চমকেই দিয়েছেন দিদি মমতা। সেই বিষয়টিকে তুলেই কি আদৌতে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ? সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপত্তি কোথায় বোঝালেন দিলীপ
তবে প্রনামের বিষয়টি ব্যক্তিগত বলেও মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। এমনকি পাবলিক ম্যাটার বলেও মনে করেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে একটা বিষয়ে যে তাঁর আপত্তি রয়েছে তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মতো সবাই মিলে দিল্লি গিয়ে টাকা নিয়ে আসাতে তাঁর আপত্তি রয়েছে। ওই টাকা নিয়ে আসা হবে আর সবাই মিলে মৌজ মস্তি হবে বলেও মন্তব্য বিজেপি নেতার। বলে রাখা প্রয়োজন, রাজ্যের স্বার্থে সবাইকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করা হবে বলেও জানান তিনি। এজন্যে সমস্ত দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল গিঠনের কথাও বলেন মমতা। আর এখানেই আপত্তি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, সবাই পয়সা নিয়ে আসবে আর ওনার লোকেরা অন্য কাজে লাগাবে তা হতে পারে না।
অমিত শাহের নির্বাচনী প্রচারে গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ, রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে বিজেপি!