পুলিশ গুন্ডাগিরি করেছে সিকিমে! গুরুংয়ের পাশেই দাঁড়াচ্ছে বিজেপি
পাহাড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রাহুল সিনহা রাজ্য পুলিশের সমালোচনা করলেন।
'মোর্চার নেতা বিমল গুরুংকে ছোট করতে গিয়েই পাহাড়ে জট পাকিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড় নিয়ে রাজনীতি করছে দুই দলই। মোর্চাও চাইছে না পাহাড় সমস্যার সমাধান। আর দিদিমণিরও ইচ্ছা নেই পাহাড়ের সংকট মেটানোর। তাঁর একটাই পাহাড়ে আধিপত্য কায়েম করা।' পাহাড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বিঁধলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুধু দিলীপ ঘোষই নন, বিজেপি-র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা বলেন, বিমল গুরুংকে ধরার নামে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা সমর্থনযোগ্য নয়। সিকিমে ঢুকে রাজ্য পুলিশ যা করেছে, তাকে গুন্ডাগিরি ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। তৃণমূলের সরকার এখন অন্য রাজ্যে ঢুকেও গুন্ডামি চালাচ্ছে। একটা নির্বাচিত রাজ্যে ঢুকে এভাবে কি হামলা চালানো যায়?
তবে বিজেপির এই সমালোচনার যোগ্য জবাব দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, পাহাড়ে তিনমাস ধরে সমস্যা চলছে। একটিবারও গিয়ে দাঁড়াননি কোনও বিজেপি নেতা। দার্জিলিংয়ের বিজেপির সাসংদকেও একটিবার পাহাড়ের মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। আসলে ওঁদের পরোক্ষ মদত রয়েছে পাহাড়ে আগুন জ্বালানোর পিছনে।
দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, মোর্চার প্রতি ওঁদের কতটা দরদ রয়েছে। তিনমাস ধরে পাহাড়ে হিংসা চলছে, একটার পর একটা সরসকারি সম্পত্তি ধ্বংস হচ্ছে, পাহাড়ের মানুষ ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, ভেঙে পড়েছে পাহাড়ের অর্থনীতি। তবু মোর্চা হিংসা ত্যাগ করেনি। আর বিজেপিও তাঁদের অবস্থান বদল করেনি।