বাজি ফাটিয়ে মানুষ অন্যায়টা কী করেছে, যুক্তি দিয়ে বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ দিলীপের
মানুষ হতাশা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এটা বিরোধীদের সহ্য হচ্ছে না। রবিবার রাতে লকডাউনের মধ্যে বাজি ফাটানো নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
মানুষ হতাশা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এটা বিরোধীদের সহ্য হচ্ছে না। রবিবার রাতে লকডাউনের মধ্যে বাজি ফাটানো নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। প্রসঙ্গত রবিবার রাত নটা থেকে নটা নয় পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আহ্বান ছিল দীপ জ্বালো। কিন্তু দেখা যায় সাধারণ মানুষের একটা অংশ দীপ জ্বালোর পাশাপাশি বাজি পোড়ানোর উৎসবে সামিল হয়েছিলেন। যা নিয়ে বিরোধীরা কড়া সমালোচনা করেন।
'মানুষ হতাশা থেকে বেরিয়ে আসছে'
লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকে অনেক মানুষই হতাশায় ভুগছেন। আর প্রধানমন্ত্রীর দীপ জ্বালো আহ্বানে বাজি পোড়ানোয় অন্যায় কিছু দেখছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, মানুষ হতাশা থেকে বেরিয়ে এসেছে, এটা বিরোধীদের সহ্য হচ্ছে না।
মানুষ অন্যায়টা কী করেছে, প্রশ্ন দিলীপের
বাজি ফাটানো নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলায় কটাক্ষও করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আহ্বানের বিরোধিতা করেছিল, তাঁরাই প্রশ্ন তুলছেন বাজি ফাটছে কেন। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন বাজি ফাটিয়ে মানুষ অন্যায়টা কী করেছে। হতাশা থেকে বেরিয়ে এসে মানুষ ভুলটা কী করেছে, পাল্টা প্রশ্ন করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গ হিসেব লুকনোর চেষ্টা করছে, অভিযোগ দিলীপের
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও রোগে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে হিসেব লুকনোর চেষ্টা করছে। তাঁর দাবি সরকার থেকে চিকিৎসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে করোনা না লিখে নিউমোনিয়া লিখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে রাজ্য সরকার ডেঙ্গুর বদলে অজানা জ্বর লিখতে নির্দেশ দিয়েছিল।
চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীরা আদৌ কি পাবেন বিমার টাকা, প্রশ্ন দিলীপের
দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে কোনও চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু যদি করোনায় হয়, তাহলে রাজ্যের ১০ লক্ষ টাকার বিমার টাকাটাই পাবেন না। কেননা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন করোনা না লিখতে।