মুখ্যমন্ত্রী মমতার সাহস নিয়ে প্রশ্ন! আম্ফান তছরুপের সঙ্গে রাজ্যের আরও এক প্রকল্পকে জুড়লেন দিলীপ
মুখ্যমন্ত্রী মমতার সাহস নিয়ে প্রশ্ন! আম্ফান তছরুপের সঙ্গে রাজ্যের আরও এক প্রকল্পকে জুড়লেন দিলীপ
জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata banerjee) শুভেচ্ছা জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। এদিন সকালে তিনি বলেন, উনি মুখ্যমন্ত্রী থাকুন, কিংবা এক্স মুখ্যমন্ত্রী, যেন তিনি ভাল থাকেন, সেই কামনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি কিষাণ সম্মাননিধি নিয়ে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছেন।
দেরিতে হলেও সুবুদ্ধি হয়েছে
এধিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়, রাজ্য সরকার কিষাণ সম্মান নিধি নিয়ে আগেকার অবস্থান পরিবর্তন করছে। এব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দেরিতে হলেও, সুবুদ্ধি হয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, বিদায়ের সময় তিনি যদি কৃষকদের কিছু পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে কৃষকরা অন্তত আশীর্বাদ করবেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যের ৭৩ লক্ষ কৃষকের তালিকা দিল্লিতে পাঠাক রাজ্য সরকার। সেখান থেকেই ভেরিফিকেশন করে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, কৃষকরা তো ধরেই নিয়েছিলেন, এই প্রকল্পের সুবিধা জুটবে না তাদের কপালে। সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নিয়ে কটাক্ষ
মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করে আসছেন, রাজ্যে থাকা কৃষকদের প্রকল্পে কৃষকরা ৫০০০ টাকা করে পাচ্ছেন। এব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, এবিষয়েও সন্দেহ রয়েছে। কেননা কৃষকরা এব্যাপারে কেউ বলেননি, যে তারা সাহায্য পেয়েছেন। তিনি কটাক্ষ করেন বলেন, এটা অনেকটা আম্ফানের মতো। কেননা আম্ফানের টাকাও লোকে পেয়েছে। কিন্তু কতজন যোগ্য লোক পেয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।
মুখ্যমন্ত্রী ড্রামা করতে ভালোবাসেন
এদিন মুখ্যমন্ত্রী লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেন। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ড্রামা করতে ভালোবাসেন। তিবি প্রশ্ন করেন, উনি কি স্বাস্থ্যসাথীর জন্য এলিজেবল? প্রসঙ্গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছেই হরিশ মুখার্জি রোডের জয়হিন্দ ভবনে দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
অধিবেশন ডাকলেই সরকার পড়বে
একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যে কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে। যা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এখানেও করতে পারেন। তবে তিনি যদি সেই পথে যান, তাহলে যেন ভেবে চিন্তে যান। কেননা অনাস্থা এসে গেলে সরকারটাই পড়ে যাবে। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বোধ হয় এতটা সাহস করবেন না। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেই সময় দিলীপ ঘোষ বলেন, তারাও অনাস্থা আনতে পারেন। কেননা তাদের হাতেও ভাল সংখ্যায় বিধায়ক রয়েছে। তবে তাদের অনাস্থায় কংগ্রেস কিংবা সিপিএম-এর সমর্থন নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন বলেও জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
পার্থর সঙ্গে বৈঠক এড়ানোর পর মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অনুপস্থিত! রাজীবের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে