মুকুলের কাছে হারতে চান না দিলীপ, ‘লড়াই’ জিততে তড়িঘড়ি কী বার্তা নেতৃত্বকে
মুকুল রায় দলে আসার পর থেকে অনেক তটস্থ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কোনও কাজই ফেলে রাখতে চাইছেন না। সব সেরে ফেলতে চাইছেন সর্বভারতীয় সভাপতি কলকাতায় পা দেওয়ার আগেই।
নিজের হাতে দলের 'ব্যাটন' রাখতে বদ্ধপরিকর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই লক্ষ্যে তিনি একেবারে মেপে মেপে পা ফেলতে চাইছেন। জানুয়ারিতে ফের রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তার আগে চূড়ান্ত রিপোর্টে কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি দলের সর্বস্তরে নির্দেশ পাঠিয়েছেন, অবিলম্বে সাংগঠনিক কাজ শেষ করার।
মুকুল রায় দলে আসার পর থেকে অনেক তটস্থ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি কোনও কাজই ফেলে রাখতে চাইছেন না। তাই সাংগঠনিক কাজগুলি তিনি সেরে ফেলতে চাইছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি কলকাতায় পা দেওয়ার আগেই। উল্লেখ্য, রাজ্যের পর্যবেক্ষক কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নভেম্বরের মধ্যেই সমস্ত সাংগঠনিক কাজ সেরে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আগেই।
সেইমতোই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জেলা কমিটি, মণ্ডল কমিটি, বুথ কমিটির কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন দ্রুত কাজ শেষ করার। বিস্তারক যোজনায় বুথে বুথে সদস্যপদ তৈরির কাজ শেষ করতেও নির্দেশ পাঠিয়েছেন তিনি। এবং এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্টও তিনি চেয়ে পাঠিয়েছেন নভেম্বরের মধ্যে। তারপরই তিনি সামগ্রিক রিপোর্ট তৈরি করবেন অমিত শাহের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
[আরও পড়ুন: শুভ্রাংশুতে আস্থা নেই তৃণমূলের! নিজের 'ভবিষ্যৎ' নিজেই স্থির করলেন মুকুল-পুত্র]
দিলীপবাবু বলেন, নভেম্বরের মধ্যে সংগঠনিক কাজ শেষ করার জন্য জেলা সভাপতি, পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছি, সমস্ত স্তরের নেতার সঙ্গেই কথা বলছি, সব কাজ ঠিকঠাক চলছে কি না রিপোর্ট নিচ্ছি। যেভাবেই হোক এই মাসেই চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে সব। তিনি জানেন অমিত শাহের হাতে রিপোর্ট তুলে দিতে হবে দলের সাংগঠনিক অগ্রগতির। এখন থেকেই তিনি সেই কাজ সেরে রাখতে চাইছেন।
দিলীপ ঘোষ এই মর্মে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে জানিয়েছেন, সমস্ত জেলাকেই ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য কমিটিতে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। আর তা যাতে সঠিকভাবে হয়, তিনি রাজ্য কমিটির নেতাদের বসিয়েছেন পর্যবেক্ষণের জন্য। কোনওভাবেই তিনি চাইছেন না ফাঁক থেকে যাক কাজে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, দিলীপবাবুর কাজে ফাঁক থেকে যাওয়ার অর্থই দলে মুকুল রায়ের উপর আরও বেশি নির্ভর হয়ে যাওয়া। তখন হয়তো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই তাঁর হাত থেকে দায়িত্ব কেড়ে নিয়ে মুকুল রায়কে দিতে পারে। তাঁর ক্ষমতা খর্ব করে দেওয়া হতে পারে দলে। সেই পরিস্থিতি হোক কিছুতেই চান না দিলাপ ঘোষ। তিনি চান না 'যুদ্ধ' হারতে।