সভাপতি না হলে মন্ত্রী! নতুন বছরে দিলীপের জন্য ‘অন্য ভাবনা’ও রয়েছে মোদী-শাহর
সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এবার নির্বাচনের পালা। প্রশ্ন তাই, দিলীপ ঘোষই ফিরছেন নাকি নতুন বছরে নতুন সভাপতি পাচ্ছে বিজেপি?
সভাপতি পদে দিলীপ ঘোষের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। এবার নির্বাচনের পালা। প্রশ্ন তাই, দিলীপ ঘোষই ফিরছেন নাকি নতুন বছরে নতুন সভাপতি পাচ্ছে বিজেপি? সেই প্রশ্নের মধ্যেই আরও এক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দিলীপ ষোঘ ঘোষ সভাপতি না হলে হতে পারেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। আবার দুটি পদ পাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তাঁর!
জ্বলজ্বল করছে দিলীপ ঘোষের ছবি
বিজেপির রাজ্য সভাপতি নির্বাচনের সভা ঘিরে সেজে উঠছে রাজ্য দফতর। সেখানে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জ্বলজ্বল করছে দিলীপ ঘোষের ছবি। তাতেই স্পষ্ট আর উজ্জ্বল কিছু অপেক্ষা করে রয়েছে বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদের জন্য।
মন্ত্রী করার ভাবনা-চিন্তাও রয়েছে
দিলীপ ঘোষ এখন সাংসদ, তাঁকে মন্ত্রী করার ভাবনা-চিন্তাও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় দিলীপ ঘোষকে সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হতে পারে অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা ফর্মুলায়। আবার এমনও হতে পারে বিজেপি রাজ্য সভাপতি পদে আনা হল নতুন মুখ। সেক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষের মন্ত্রী হওয়ার পথ আরও প্রশস্ত হবে।
মন্ত্রীর থেকে লক্ষ্য বড়
আর তার থেকেও বড় কথা, লোকসভা ভোটের পর যে মোমেন্টাম তৈরি হয়েছিল, তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে দিলীপ ঘোষের পরিবর্ত হিসেবে কেউ এলে। তাই দিলীপ ঘোষকেই সভাপতি রাখা হতে পারে অন্তত ২০২১ সাল পর্যন্ত। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত শীর্ষপদে কোনও পরিবর্তন চাইছে না বিজেপি।
দিলীপের বিরোধীরাও সক্রিয়
বিজেপির একটা পক্ষ মনে করছে, দিলীপ ঘোষের সিংহাসন আরোহনের পথ অতটা মসৃণ নয়। দিলীপ ঘোষের সমর্থনে যেমন রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশ সওয়াল করছে, তেমনই একটা অংশের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সবকিছুই নলেজে রয়েছে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের।
৯ জানুয়ারিই সিদ্ধান্ত
২০২০-র ৯ জানুয়ারি বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব বাংলায় আসছেন। তিনি বৈঠক করবেন বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সঙ্গে। সেদিনই চূড়ান্ত হবে বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি। এই লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই। শুধু সিলমোহর পড়ার অপেক্ষা।