দলে ভাঙন চলছে, এবার অস্বস্তি বাড়ালেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ! অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির
বিজেপিকে এবার অস্বস্তিতে ফেললেন দিলীপ ঘোষ। দলে যখন বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিদ্রোহীরা, তখন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই অস্বস্তি বাড়িয়ে তুললেন।
বিজেপিকে এবার অস্বস্তিতে ফেললেন দিলীপ ঘোষ। দলে যখন বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিদ্রোহীরা, তখন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই অস্বস্তি বাড়িয়ে তুললেন। তিনি বললেন, দলে নেতার অভাব রয়েছে। তাঁর এই ধরনের মন্তব্যে ফের অস্বস্তি বাড়ল বিজেপির।
বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে হুগলিতে এক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলার বিজেপি বাড়তে পারেনি। হয়তো নেতার অভাব রয়েছে। বাংলায় মানুষ যে ধরনের রাজনীতি পছন্দ করে, আমরা রাস্তায় নেমে সে ধরনের লড়াই করতে পারিনি। এদিন দিলীপ ঘোষের মুখে যা শোনা গেল, তেমনটাই শোনা গিয়েছিল বিদ্রোহী নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারির কণ্ঠেও।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বাংলায় বিজেপি পড়েছে মহাফাঁপরে। একের পর এক নেতা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। অনেকে পা বাড়িয়ে রেখেছেন। বিজেপির একটা বড় অংশ নিয়মিত দল-বিরোধী কথা বলে চলেছে। এই অবস্থায় দিলীপ ঘোষের মুখ থেকে নেতার অভাব তাঁদের আরও উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করছে রাজনীতিক মহলের একাংশ।
তবে দিলীপ ঘোষের বলা আর জয়প্রকাশ মজুমজদার বা রীতেশ তিওয়ারির বোমা ফাটানোর মধ্যে তফাৎ রয়েছে। দিলীপ ঘোষ এই কথা বলেছেন আত্মসমীক্ষার সুরে। আর জয়প্রকাশ মজুমদার বা রীতেশ তিওয়ারি সরাসরি কামান দেগেছে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। যে কামান দেগেছিলেন শান্তনু ঠাকুর অ্যান্ড কোংও।
জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছিলেন, বাংলায় বিজেপির দায়িত্ব যাঁদের উপর রয়েছে তাঁদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা পাঁচ বছরের নয়। আর তাঁরা কি না এমন একজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মুখ যিনি ধারে-ভারে অনেক এগিয়ে। তিন দশকেরও বেশি রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাঁর। বাম আমল থেকে যিনি আন্দোলন করে উঠে এসেছেন যাঁকে এই মুহূর্তে মোদী-বিরোধী প্রধান মুখ ভাবা হচ্ছে সেই মমতা বন্যোকরপাধ্যায়।
এদিকে জয়প্রকাশের সুর শোনা গেল দিলীপ ঘোষের গলায়। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর আবার জয়প্রকাশ-রীতেশের সঙ্গে বৈঠকের পর দিল্লি গিয়েছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন বিক্ষুব্ধদের নিয়ে। রাজ্য বিজেপিতে অশান্তির আগুন জ্বলছে। তাতে দহন বেড়েই চলেছে বঙ্গ বিজেপির। ফলে বিজেপিতে আড়াআড়ি বিভাজন ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
সম্প্রতি রাজ্য বিজেপিতে রদবদল হয়েছে। সেই রদবদলের পর থেকেই বিজেপিতে শুরু হয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল। মতুয়া-গড়ের পাঁচ বিধায়ক প্রথম প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন। তাঁরা বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেন। সেই প্রতিবাদের শুরু। তারপর ক্রমেই বিদ্রোহীর সংখ্যা বেড়েছে। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর নিজে বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন। এই প্রতিবাদী মঞ্চে শামিল করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুরাও।