বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে জোট বিজেপির! বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় নয়া বিতর্ক বাধালেন দিলীপ
বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে জোট বিজেপির! বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় নয়া বিতর্ক বাধালেন দিলীপ
গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পর উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। তারপর বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে বিজেপির জোট-মন্তব্যে বিতর্ক বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, দাবি মানি না কিন্তু নির্বাচনী সমঝোতা করতে হয়। তাতেই বিতর্কের আঁচ বাড়ল রাজ্য রাজনীতিতে।
নতুন বিতর্ক উসকে দিল বিজেপি
বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বিজেপিরর অবস্থান কী? বিজেপি কি বঙ্গভঙ্গের পক্ষে নাকি বিপক্ষে, তা জানতে চেয়েছিল তৃণমূল। সেই প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়ে দেন, অনন্ত মহারাজ বা বিমল গুরুংরা যে দাবি তুলছেন, তা মানি না। কিন্তু কখনও সখনও তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করতে হয়। তাঁর এই কথায় ফের নতুন বিতর্ক উসকে দিল। বিজেপিকে অস্বস্তিতে পড়তে হল।
নিশীথের সঙ্গে অনন্তের বৈঠকের পর
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে বৈঠক করেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত মহারাজ। তিনি কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বা পৃথক রাজ্যের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন। ওই বৈঠকের পর তিন বলেন উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে গুরুং
আবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং বলেন, পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন। যে দল গোর্খ্যাল্যান্ডকে সমর্থন করবে, সেই দলকেই তিনি বা তাঁর পার্টি সমর্থন করবে। অর্থাৎ বাংলায় পৃথক রাজ্যের দাবি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ফের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দাবি উঠে পড়ায় স্বভাবতই রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়।
পৃথক রাজ্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ
এই পরিস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওঁরা ওদের দাবির কথা বলতেই পারেন। তবে বিজেপি পৃথক রাজ্যের দাবি বা বঙ্গভঙ্গ সমর্থন করে না। উত্তরবঙ্গে এরকম আলাদা আলাদা দাবিতে আন্দোলন করা একাধিক সংগঠন রয়েছে, তবে রাজনৈতিক স্বার্থে কখনও কখনও এদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করতে হয়। কিন্তু তা থাকে নির্বাচন পর্যন্তই। বাকি সময় তাঁরা তাঁদের মতো কাজ করে।
রাজ্যভাগ ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি
বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে, তারপর ২০২৪-এ লোকসভা ভোট তার আগে রাজ্যভাগ ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও গোর্খাল্যান্ড, কামতাপুরী, রাজবংশী, গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সর্বদাই নির্বাচন এলে সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারপর নির্বাচনী সুবিধা আদায় করার জন্য প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের কার কারও সঙ্গে জোট করে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে জেট প্রসঙ্গে
কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সঙ্গে এই সমঝোতার বিষয়টি সবাই গোপনই রাখে, তা ফলাও কে কেউ বলে বিতর্ক বাধায় না। এদিন দিলীপ ঘোষ সেই বার্তা ফলাও করে জানিয়ে দিলেন যে, বি্চ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির দাবি মেনে না নিলেও কখনও কখনও তাদের সঙ্গে জোট করতে হয়। তাঁর কথায়, কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চা খেয়েছিলেন অনন্ত মহারাজ। তখন কি তিনি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কথা বলেছিলেন। তাহলে এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সেই দাবি উঠছে কেন। তবে দিলীপের মন্তব্যকে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম হাতিয়ার করবেই।
চার লক্ষ চাকরি ও পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের প্রতিশ্রুতি, হিমাচলে প্রকাশ বিজেপির ইস্তেহার