শিক্ষিত লোকদের প্রতি অ্যালার্জি আছে দিলীপের, পাল্টা দিলেন তথাগত রায়
এবার আর রাখ ঢাক নয়, সরাসরি দিলীপ ঘোষের নাম নিয়ে তাঁর অভিযোগের জবাব দিলেন তথাগত রায়৷ শুক্রবার ইংরাজিতে লেখা একটি ফেসবুক পোস্টে তথাগত লেখেন, আমার বিরুদ্ধে 'পার্টি অফিসকে একটি 'মধুশালা' বানানো' এবং 'টিএমসি থেকে চাকরি পেয়েছিলাম' বলে গালি দেওয়ার পরে দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে 'অনভিজ্ঞ' বলে আক্রমণ করেছেন। এটা একটি প্যাটার্ন ? শিক্ষিত লোকদের প্রতি তার কি দুরারোগ্য অ্যালার্জি আছে? কারণ সে ৮ম-পাস?
তথাগত আরও লিখেছেন, 'তথ্যের জন্য জানাই, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন দ্বারা অনুষ্ঠিত একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ভিত্তিতে ১৯৬৭ সালে আমাকে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে সার্ভিস অফ ইঞ্জিনিয়ার্স (IRSE) তে নেওয়া হয়েছিল যেখানে আমি ভারতে ৫ম স্থান পেয়েছিলাম। আমি ১৯৯০সালে IRSE থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করি যেখানে আমি নির্মাণ প্রকৌশল বিভাগ প্রতিষ্ঠা করি। যেদিন আমি সরকারি চাকরি থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম আমিও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি ১৯৮৬ সাল থেকে একজন স্বয়ংসেবক। এবং বিজেপি পার্টি অফিসের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আমি কখনও পান করিনি (জল/চা ছাড়া)। আমি হলফ করে এ কথা বলতে পারি!
তথাগত আরও লিখেছেন, আমি এখন ৭৭ রান করছি এবং কোন রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই। বিজেপিতে ৭৫ পেরিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা যায় না। তাই আমি একজন সাধারণ সদস্যই থেকে যাই। আমি আমার বেশিরভাগ সময় পড়াশুনো এবং লেখালিখিতে ব্যয় করি। কিন্তু একজন অষ্টম-পাশ অর্ধ-শিক্ষিতকে এটা কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?বিশেষ করে যিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনে এবং তার পরেও তার শিক্ষার বিষয়ে মিথ্যা হলফনামা দাখিল করেছিলেন? তিনি শপথ করেছিলেন যে তিনি ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিকের ডিপ্লোমা হোল্ডার যা পলিটেকনিক অস্বীকার করেছে! এগুলো সব রেকর্ডে আছে!'
বৃহস্পতিবার দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন,'যারা লোকের হাতে পায়ে ধরে চাকরি পেয়েছেন৷ দলের অফিসটা পানসালা বানিয়ে মৌজ মস্তি করতেন৷ যারা তৃণমূল সিপিএমের থেকে সুবিধা নিতেন, আসলে সুপারি নিতেন যাতে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে চার পারসেন্টের উপরে না যায়, সে সব আহাম্মকদের কথা কে শোনে! বয়সের একটা দোষ আছে তো! ৭২ হয়ে গেলে তখন মাথার ঠিক থাকে না!'
বুধবারই একটি ফেসবুক পোস্টে তথাগত রায় লিখেছিলেন, 'আমার এক বন্ধু বলেছেন আমি নাকি ফিটার মিস্ত্রিদের অপমান করেছি। কখনোই না। কিন্তু যদি অজান্তেও করে থাকি তাহলে তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি। কিন্তু যে ফিটার মিস্ত্রীটি ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে মিথ্যা এফিডেভিট করে নিজেকে ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিকের ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত বলে লিখেছিলেন, এবং যা ওই পলিটেকনিক অস্বীকার করেছে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। কারণ মিথ্যা এফিডেভিট করা একটি দণ্ডযোগ্য অপরাধ।'