কোন জঙ্গলে কখন-কীভাবে প্রবেশ করতে হয় জানেন দিলীপ ঘোষ, পুরভোটের প্রাক্কালে হুঙ্কার
কোন জঙ্গলে কখন-কীভাবে প্রবেশ করতে হয় জানেন দিলীপ ঘোষ, পুরভোটের প্রাক্কালে হুঙ্কার
করোনা ভাইরাসের জন্য পুরসভা নির্বাচন খানিক পিছিযে গিয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে প্রচারও। তা বলে চুপ করে বসে নেই কোনও পক্ষই। প্রত্যেকেই যে যার মতো প্রচার চালাচ্ছে। এরই মধ্যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিবৃতি দিলেন, কোন জঙ্গলে কীভাবে প্রবেশ করতে হয়, সেসব আমার জানা আছে। কারণ আমি জঙ্গলমহলের ছেলে।
জঙ্গলমহলে উলট পুরান
তৃণমূলে রাজ্যে যে পরিবর্তন এনেছিলেন, সেখানে জঙ্গলমহলের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে সেই জঙ্গলমহলেই উলট পুরান দেখেছে রাজ্যের মানুষ। শাসকদলের থেকে মুখ ফিরিয়ে তারা বিজেপির দিকে ঢলে পড়েছে। ফলস্বরূপ জঙ্গলমহলের সব আসনেই এবার জয় পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কামব্যাকও করেছেন।
দিলীপ গড়ে সাফল্য সত্ত্বেও
উপনির্বাচনের ফলেই দিলীপ গড়ে বিরাট সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। তারপর সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার চেষ্টাও চালিয়েও যাওয়া হচ্ছে। নিজেদের ভুল স্বীকার করে জনংয়োগে মনে দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আত্মপ্রত্যয়ী। তিনি বলেন, যতই চেষ্টা করুক তৃণমূল। আর পারবে না। মানুষের মন ঘুরে গিয়েছে।
জঙ্গলমহলের ছেলে দিলীপ
দিলীপ বলেন, আমি জঙ্গলমহলের ছেলে। তাই জানি কোন জঙ্গলে কখন ঢুকতে হয়, কীভাবে ঢুকতে হয়। আমরা জানি হিংস্র জন্ত-জানোয়রাজদের সঙ্গে কীভাবে লড়াই করতে হয়। অতএব ওসব নিয়ে চিন্তা করছি না।ষ সময় এলেই তৃণমূল কংগ্রেস জবাব পাবে। এবার আমরাই জিতব। তৃণমূলের কোনও সুযোগ নেই। লোকসভা নির্বাচনই তা স্পষ্ট করে দিয়েছে।
তৃণমূলের হাতে আর এক বছর সময়
তিনি বলেন, তৃণমূলের হাতে আর এক বছর সময় আছে, যা পারে করে নিক। তারপর তৃণমূল হারছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। আছে শুধু দুর্নীতি আর হিংসা। মানুষ এই দুর্নীতি আর হিংসার আবহ থেকে বের হতে চাইছে। তাই তাঁরা বিজেপিকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে চাইছে।