২ কোটি মুসলিম ‘অনুপ্রবেশকারী’কে বাংলাদেশে পাঠানো হবে, ঝাঁঝ বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ
২ কোটি মুসলিম ‘অনুপ্রবেশকারী’কে বাংলাদেশে পাঠানো হবে, ঝাঁঝ বাড়ালেন দিলীপ
দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী ও ভারতের জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এরই মধ্যে বঙ্গ বিজেপির প্রধান দিলীপ ঘোষ দুই কোটি মুসলিম 'অনুপ্রবেশকারী'কে দেশছাড়া করার হুমকি দিয়েছেন। বিজেপি সভাপতি নির্বাচনের দিনই তিনি দিল্লিতে দাঁড়িয়ে ফের বাংলায় এনআরসির পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছিলেন।
আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন দিলীপ
বাংলায় ফিরে গিয়ে দিলীপ ঘোষ মুসলিমদের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ালেন। তিনি বলেন, প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশি মুসলিম ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে। তাঁদেরকে এদেশে থাকতে দেওয়া হবে না। কোনও বাংলাদেশি মুসলমানেরই এই বাংলায় তথা এই দেশে ঠাঁই নেই।
২ কোটি বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারী ভারতে
তিনি বলেন, "দুই কোটি বাংলাদেশি মুসলমান অনুপ্রবেশকারী ভারতে প্রবেশ করেছে। তাদের মধ্যে এক কোটি পশ্চিমবঙ্গে আর এক কোটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা কোনও বাংলাদেশী মুসলমানকে এখানে থাকতে দেব না। যদি তাদের নাম ভোটার তালিকায় থাকে তবে তা আগে সরানো হবে, তারপর তাদের প্র্ক্রিয়া মেনে দেশ ছাড়া করা হবে।
৫০ লক্ষ থেকে বেড়ে কোটি অনুপ্রবেশকারী
দিলীপ ঘোষ রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার একটি জনসভায় বলেন, ৫০ লক্ষ মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। উত্তর চব্বিশ পরগনার পর তুফানগঞ্জে গিয়ে সেই সংখ্যাটা একলাফে কোটি ছাড়িয়ে যায়। তিনি বলেন, এক কোটি বাংলায় আর সারা দেশে আর এক কোটি বাংলাদেশি মুসলিম অনু্প্রবেশ করেছে।
ভোটার তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে নাম
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এবং এনআরসির বিরোধিতা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমালোচনা করে তিনি বলেন, "প্রথমত, মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটারদের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তখন দিদি কাউকেই সন্তুষ্ট করতে পারবেন না।"
আমরা ২০০ আসন পাবো আর তৃণমূল ৫০
তিনি বলেছিলেন, ২০২১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ভোটারদের তালিকা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের নাম সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন ভোটের সংখ্যা হ্রাস পাবে। আর একবার এই কাজটা করতে পারলে দিদির ভোট কমে যাবে এবং আগামী নির্বাচনে আমরা ২০০ আসন পাবো আর তৃণমূল ৫০টি আসনও পাবে না।
সেই লক্ষ্যেই সিএএ প্রণয়নে এনআরসি হাওয়া
উল্লেখ্য, সেই লক্ষ্যেই সিএএ প্রণয়ন করা হয়। এই আইনে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়নের ফলে পালিয়ে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সী, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। যাঁরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছিল তাদেরই নাগরিকত্ব দেবে এই আইন।
সেনাপতি দিলীপের 'একুশে-বাহিনী’! বাংলার চারটি তালিকা গিয়েছে মোদী-শাহদের হাতে