তৃণমূলের ‘সর্বনাশ’ নিশ্চিত! নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে কেন এমন কথা বললেন দিলীপ
নেতাজির জন্মজয়ন্তীতেও বিজেপি বনাম তৃণমূলের সংঘাত চরমে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, তৃণমূল যে পথে চলছে, তাতে তাদের সর্বনাশ নিশ্চিত। নেতাজির জন্মদিবসে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে তৃণমূলকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, তৃণমূল যে রাজনীতি করছে তা বাংলার মানুষের স্বার্থে নয়।

তৃণমূলকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। সেই বৈঠকে বাংলার কোনও জেলাশাসক উপস্থিত ছিলেন না। ওনাদের ডিএমকে ডাকলে যাবেন না, সিএমকে ডাকলে যাবেন না, ফাইনান্স মিনিস্টারকে ডাকলে যাবেন না, চিফ সেক্রেটারিকে ডাকলে যাবেন না, কিন্তু ট্যাবলো পাঠাবেন।

বাংলার মানুষের স্বার্থে রাজনীতি নয়
দিলীপবাবুর কথায়, সেই অধিকার আছে তাঁদের। তবে কোনও কারণে ট্যাবলো যদি ক্যান্সেল হয়ে যায়। তাহলে সেটা নিয়ে রাজনীতিও করবেন। এই ধরনের রাজনীতি কাদের জন্য করা হচ্ছে জানি না। তবে এটা বাংলার মানুষের স্বার্থে রাজনীতি নয়। এই রাজনীতি করে নিজেদেরই সর্বনাশ ডাকছে তৃণমূল কংগ্রেস।

নেতাজির মূর্তি স্থাপন প্রসঙ্গে
নেতাজির মূর্তি স্থাপন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, যাঁরা নেতাজির মূর্তি স্থাপন নিয়ে সমালোচনা করছেন, তাঁরা নেতাজির জন্য কিছুই করেননি। নেতাজির মূর্তি স্থাপনে ৩০ হাজার বলিদানিককে একসঙ্গে সম্মান জানানো যাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সৈনিকদের জন্য ওয়ান ব়্যাঙ্ক ওয়ান পেনশন চালু করেছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে খুশি লক্ষ লক্ষ সৈনিক।

তৃণমূলের নেতাজি ভক্তি নিয়ে খোঁচা দিলীপের
দিলীপ ঘোষের বলেন, যাঁরা দেশের স্বার্থে প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদেরকে সম্মান জানানো হচ্ছে এক জায়গায়। সেখানে দুই জ্যোতিকে এক করা হচ্ছে। এটা একটা ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, নেতাজি ট্যাবলো বিতর্ককে ধামাচাপা দিতেই এটি করা হয়েছে। দিলীপ পাল্টা দেন, তৃণমূলের নেতাজি ভক্তি আমরা জানি। ২৩ জানুয়ারি এলেই ওঁদের নেতাজি মূর্তির কথা মনে পড়ে।

নেতাজিকে বাঙালি করে রাখার চেষ্টা তৃণমূলের
দিলীপ ঘোষ বলেন, ১০ বছর ধরে বাংলার ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতাজিকে বাঙালি করে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নেতাজির বিশ্বায়ন ঘটেছে। বর্তমানে রাজনীতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে নেতাজির গুরুত্ব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সাত বছরে ফাইল খোলা থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত যা ঘোষণা করেছেন সবই ঐতিহাসির সিদ্ধান্ত।

চার্বাক নীতিতে চলছে তৃণমূল
দিলীপ বলেন, নেতাজিকে নিয়ে যাঁরা সারাজীবন রাজনীতি করে অসেছেন, তাদের আর কিছু বলার অধিকার নেই। তৃণমূল বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে এক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প চালাচ্ছে। কোনও বাজেট নেই, এভাবে চার্বাক নীতিতে যাঁরা চলছে, তাদের সর্বনাশ নিশ্চিত। সেদিন আর বেশি দূরে নেই।

তৃণমূল গোয়ায় খাতাই খুলতে পারবে না
আর গোয়া নিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের ওখানে কী আছে, কার জন্য প্রচার করবে। ত্রিপুরায় অনেক নেতা-অভিনেতারা গিয়েছিলেন, তাতে কী লাভ হয়েছিল? গোয়াতেও তেমন কিছু একটা হবে, দেখবেন, তৃণমূল গোয়ায় খাতাই খুলতে পারবে না। ত্রিপুরায় যেটুকু হয়েছিল, গোয়ায় তার ছিটেফোঁটাও হবে না।