বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন ধিক ধিক করে জ্বলছে, রাশ টানতে অর্জুনকে নিয়ে মস্ত চাল দিলীপের
বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন ধিক ধিক জ্বলছে, রাশ টানতে অর্জুনকে নিয়ে মস্ত চাল দিলীপের
বিজেপিকে একাই ক্ষমতায় আনতে পারেন দিলীপ ঘোষ, এমন বক্তব্যে ঝড়় তুলেছেন একদিন আগে। রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির ওই বয়ান নিয়ে। এবার রাজ্য বিজেপিকে এক সূত্রে বাধতে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি যে কোন্দল শুরু হয়েছে দলে, তাতে রাশ টানতে সক্রিয় হলেন রাজ্য সভাপতি।
বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন ধিক ধিক করে জ্বলছে
দিল্লির বৈঠকে মুকুল-পর্বের পরই অর্জুন সিং তুলকালাম বাধিয়ে দেন বলে সূত্রের খবর। তিনি রাজ্য বিজেপিতে গোষ্ঠীবাজির অভিযোগ তুলে জানান, নামেমাত্রই তাঁরা পদাধিকারী, কোনও অধিকার নেই কাজের। দু-একজনের অঙ্গুলিহেননেই চলে দল। আর এই অভিযোগের পরই আগুনে ঘি পড়ে। বিজেপিতে জল্পনা শুরু হয় বিদ্রোহের।
বিতর্ক ধামাচাপা দিতে অর্জুনের হাতে দিলীপের রাখি
বিশেষ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বিজেপির কাছে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। এরপরই বিতর্ক এবং অন্তর্কলহকে ধামাচাপা দিতে অর্জুন সিংয়ের হাতে রাখি পরিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, অর্জুনের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। এসবই বিরোধীদের রটনা। অপপ্রচার করে তৃণমূল আমাদের একতা ভাঙতে পারবে না।
২০২১ নির্বাচন পাখির চোখ, নিশানা তৃণমূলকে
উত্তর ২৪ পরগনায় চাপে পে চর্চায় অংশ নিয়ে দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁর অভিযোগ বিজেপিতে ভাঙন ধরাতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু ২০২১ নির্বাচন আমাদের পাখির চোখ। আমরা কেউই সেই লক্ষ্য থেকে পিছু হটব না। আমরা এক হয়েই যুদ্ধ জয় করব। তৃণমূল হারবেই। সেই হারার ভয়েই এসব ফন্দি আঁটছে।
অর্জুন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের দিকে আঙুল তোলেন
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে দিল্লির বৈঠক চলাকালীন অর্জুন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের দিকে আঙুল তোলেন। নাম না করলেও তিনি বুঝিয়ে দেন তাঁর নিশানা ছিল রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। এরপর বিজেপি আড়াআড়ি দু-ভাগ হয়ে যায়। এরপর বাবুলের বাড়িতে নৈশভোজ নিয়েও চর্চা শুরু হয়। এসবই মিথ্যা বলে জানান দিলীপ ঘোষ।
কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চিঠি
দিল্লির বৈঠক থেকে মুকুল রায়ের কলকাতায় ফিরে আসা থেথে শুরু। তারপর অর্জুনের বিদ্রোহ, বাবুলের বাড়িতে নৈশভোজ এবং সোমবার দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি একাই পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম, যাঁদের বিশ্বাস হবে না তাঁরা ঘরে বসে থাকুন। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হলে মিষ্টি খেয়ে যাবেন। এই বার্তার পর ফের অনেকে উষ্মা প্রকাশ করেন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় বলেও খবর। সব নিয়ে বিজেপিতে কোন্দল চলছেই।
বিজেপির সভাপতির ঘরেই ভাঙন! একুশে নির্বাচনের আগে প্রশ্ন দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে