মমতাকে গুরুত্বপূর্ণ ‘পরামর্শ’ দিলীপের, জয় শ্রীরাম স্লোগানের মোকাবিলায় দিলেন বার্তা
হাওড়ায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে চরম উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুরু হওয়ার পর তাঁকে আর মঞ্চে উঠতে দেখা যায়নি। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
হাওড়ায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনে জয় শ্রীরাম স্লোগান বিতর্কে চরম উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান শুরু হওয়ার পর তাঁকে আর মঞ্চে উঠতে দেখা যায়নি। মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর যুযুধান দু-পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে তাল ঠুকে চলেছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিলেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ তোপ দেগে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে যা করছেন, তাতে বাংলার বদনাম হচ্ছে ভারতবর্যে তো জয় শ্রীরাম বলতে কোনও বাধা নেই। আর যদি মুখ্যমন্ত্রীর তাতে আপত্তি হয় বা খারাপ লাগে, তবে তিনি বিল আনতে পারেন। বিল পাস করিয়ে বাংলায় তিনি জয় শ্রীরাম বলা বন্ধ করে দিন।
শুক্রবার হাওড়ায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হয়। ভার্চুয়ালি তা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাওড়ায় এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন বিজেপি সাংসদ-নেতারা। ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা। মমতা বন্যোদ্পাধ্যায় উপস্থিত হওয়ার পরই উল্টোদিকের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে জয় শ্রীরাম স্লোগান তোলেন। তা নিয়েই বিতর্ক বাধে।
এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতারা। বিজেপির নেতারাও পাল্টা দিতে শুরু করেন। এবার এই ইস্যুতে তৃণমূলকে পাল্টা দিয়ে দিলীপ ঘোষ পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তো সবকিছুতেই বিল আনেন। জয় শ্রীরাম বন্ধেও বিল আনুন। বিল পাস করিয়ে জয় শ্রীরাম বন্ধ করে দিন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেগেটিভ পাবলিটিটি পেতে রাজনীতি করেন, নানা নাটক করেন। এরপর তিনি বলেন, যাঁরা আপনাকে ডেকেছে, তাঁদের তো অন্তত সম্মাম করুন। আপনারা তো ডাকেন না, কোনও অনুষ্ঠানের চিঠিও দেন না। এরপর তাঁর কটাক্ষ উনি রাতে স্বপ্ন দেখেছেন রেল লাইন করবেন, আর সেই স্বপ্ন মোদীজি সফল করেছেন।
দিলীপের কথায়, আমন্ত্রিত হয়ে এখানে এসেছেন, আর এখানে এসে আপনি এমন অভিনয় করছেন যেমন জয় শ্রীরাম বলায় মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এটা শোভা পায় না একজন মুখ্যমন্রীন র। তিনি বলেন, আমি তো কাল নাটক দেখলাম বিনা পয়সায়। যখন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলছে, তখন উনি মুখ্যসচিবের সঙ্গে গল্প করছেন। গল্প করার জন্য ওনার নবান্ন আছে। বাংলার মান-সম্মান কেন নষ্ট করছেন উনি। এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নেন তিনি।