মুখ্যমন্ত্রী মমতার জন্য 'উদ্বেগ' বিজেপির দিলীপ ঘোষের! কঠিন সময়ে 'পরামর্শ'
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। বাংলাও বাদ নেই। আর বাংলায় যাতে মারণ করোনা ভাইরাস মহামারীর রূপ না নেয় মুখ্যমন্ত্রী তা রুখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। বাংলাও বাদ নেই। আর বাংলায় যাতে মারণ করোনা ভাইরাস মহামারীর রূপ না নেয় মুখ্যমন্ত্রী তা রুখতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। নিজে রাস্তায় নেমে করোনা ভাইরাসের সচেতনতা মানার পরামর্শ দিচ্ছেন। একইসঙ্গে লকডাউনে গরিব-দুঃস্থদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ
মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকা অবশ্য ভালোভাবে নিচ্ছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে দিলীপ ঘোষ বলেন, লকডাউন মানছেন না এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই। মুখ্যমন্ত্রীই যদি আইন ভাঙেন, তবে রাজ্যের সাধারণ মানুষ আইন মানবেন কেন!
লকডাউনকে বুড়ো আঙুল মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস রুখতে যখন দেশজুড়ে লকডাউন চলছে. তখন মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের ভরসা জোগাতে কখনও হাসপাতাল কখনও বাজারে গিয়ে অভাব-অভিযোগ শুনছেন। আবার লকডাউনের মধ্যে রাস্তায় নেমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির ভিডিও বার্তা
বিজেপির রাজ্য সভাপতি এক ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণে বিশ্বের উন্নত সব দেশ মুখ থুবড়ে পড়েছে শুধু সচেতনতার অভাবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সব জেনেও রোজ রাস্তায় নামছেন। লোক নিয়ে ঘুরছেন। মুখ্যমন্ত্রী এভাবে আইন ভেঙে ঠিক করছেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার সমালোচনা দিলীপের
দিলীপের কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকা সাধারণ মনে প্রভাব ফেলবে। তারাই মানবে না লকডাউন। ফলে রাজ্য তথা দেশের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকা সমীচিন হবে না। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর রাস্তায় বেরিয়ে খাবার বিতরণ করা, লোককে বোঝানোর কোনও দরকার নেই। সেজন্য আলাদা লোক রয়েছেন, তারাই করুন এ কাজ।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছে না
দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় লকডাউন মানা হচ্ছে না। সংখ্যালঘু এলাকায় রাস্তায় প্রচুর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। বর্তমান অবস্থায় বিধিনিষেধ মেনে না চললে, তা সমাজের পক্ষে মারত্মক হতে পারে। সবাইয়ের উচিত সতর্কতা বজায় রেখে চলা। তা না হলে একটা ভুলের খেসারত দিতে হবে গোটা রাজ্যকেই। তাঁর আবেদন সবাই বাড়িতে থাকুন, করোনা ভাইরাসকে হারিয়ে দিন।