বাঘ-বন্দি খেলায় শুধু ড্রামাবাজি হয়েছে! বড় ভুল সময়ে ঢুকেছিল বাঘ, খোঁচা দিলীপের
বাঘ-বন্দিতে সরকারের ভূমিকাকে ড্রামাবাজি বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাঘঘরায় জঙ্গলের মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মৃতদেহ উদ্ধারের পরই বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। কেন বাঘ-বন্দিতে ব্যর্থ হল সরকার? কেনই বা শিকারিদের হাত থেকে বাঁচানো গেল না বাঘটিকে। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। বাঘ-বন্দিতে সরকারের ভূমিকাকে ড্রামাবাজি বলে ব্যাখ্যা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি এদিন সরকারের সমালোচনায় বলেন, লালগড়ের বাঘঘরার জঙ্গলে বাঘ ধরা নিয়ে দু-মাস ধরে শুধু নাটক হয়েছে। সেই জানুয়ারি মাস থেকে শুনছি জঙ্গলে বাঘ দেখা গিয়েছে। সেই বাঘ এতদিন ধরে ধরতে পারল না বন দফতরের প্রশিক্ষিত কর্মীরা। শেষপর্যন্ত বাঘটিকে খুন হতে হল। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার।
দিলীপবাবু বলেন, সরকার ব্যর্থ। শুধু ড্রোন নামিয়ে ড্রামা বাজি হয়েছে। আসলে পঞ্চায়েত ভোটের মরশুমে বিরোধীরা যেভাবে আক্রান্ত হয়েছে, তেমনই শিকার হয়েছে বাঘটি। বাঘটি বড় ভুল সময়ে ঢুকে পড়েছিল এই বাংলায়। বাংলার লালগড়ের জঙ্গলে তাঁর সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে পারল না সরকার। এখন শিকারিদের উপর দোষ চাপিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছে।
কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যও সমালোচনা করেন সরকারের। তিনি বলেন, এই বাঘ-হত্যা বন দফতরের অপদার্থতাই প্রমাণ করে। বন দফতরের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। বন দফতর বসেছিল কবে বাঘ ধরা দেবে। তাই বন্যপ্রাণ রক্ষায় এভাবে ব্যর্থ হল বন দফতর। তিনি বন দফতরের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান।
এদিন বন্যপ্রাণ আইন মেনে বাঘটির ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্য করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বিষক্রিয়ায় নয়, বল্লমের খোঁচায় মারা গিয়েছে বাঘটি। বাঘের মাথায় খুলিটি ভাঙা ছিল। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। ৬ ফুট চার ইঞ্চি লম্বা ১০-১২ বছরের বাঘটির ওজন ছিল ২২০ কেজি।