মমতার পায়ে হাত দিলেই পোস্টিং পাওয়া যায়, অর্জুন-কাণ্ডে পুলিশকে একহাত দিলীপের
সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটানোর ঘটনায় পুলিশকে আগেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার দিকে তুললেন আঙুল।
সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটানোর ঘটনায় পুলিশকে আগেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার দিকে তুললেন আঙুল। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, যে রাজ্যে পুলিশের পোস্টিং ঠিক হয় মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের মাথা ঠুকে, সেই রাজ্যের পুলিশের কাছ থেকে আর কি সুবিচার পাওয়া যায়?
সোমবার এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের মন্তব্যকে প্রতিবাদে দিলীপ ঘোষ ঠুকলেন মমতার সরকারকে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের যোগ্যতা নেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সুস্থির রাখার। তাঁর পুলিশ শুধু মুখ্যমন্ত্রী পদলেহন করতেই ব্যস্ত। এহেন পুলিশের কাছ থেকে এর বেশি আর কীই বা আশা করা যায়।
[আরও পড়ুুন: বিজেপির পথেই সব্যসাচী! তবু মুকুল-দিলীপদের জল মেপে চলেছেন তৃণমূল ছাড়ার আগে]
উল্লেখ্য, এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, অর্জুন সিং নিজের দলের ছেলেদের হাতেই মার খেয়েচেন। তিনি এলাকায় হিংসা ছড়ানোর নায়ক। এলাকায় হিংসা ছড়াতে গিয়ে নিজেই মাথা ফাটিয়ে বসেছেন দলের কর্মীদের ছোঁড়া ইট-পাথরের আঘাতে। অর্জুন সিং ইস্যুতে পুলিশ কর্তা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের গলায় শোনা গিয়েছে শাসক দলের নেতার সুর।
মুকুল রায় একটা সময় অভিযোগ করেছিলেন, জ্ঞানবন্ত সিং একজন দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার। সেই তিনিই সাফাই গাইছেন মমতার দল তথা শাসকের হয়ে। এবার একই কথার পুনরাবৃত্তি দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ অযোগ্য। রাজ্যে তাই কোনও আইনশৃঙ্খলার বালাই নেই। সাংসদ-বিধায়করাও মার খাচ্ছেন।
রবিবারের দিনভর হিংসার পর সাংসদের মাথা ফাটানোর ঘটনায় সোমবার নবান্নে দাঁড়িয়ে এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং বলেন, অর্জুনই হিংসার নায়ক। ফিডার রোডে রবিবার সকালে গন্ডগোলের সূত্রপাত করেছিল অর্জুন-পুত্র বিধায়ক পবন সিং। তারপর যাবতীয় ঘটনা ঘটেছে অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে। সকাল থেকে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে বারাকপুর। কখনও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অর্জুন, কখনও নেপথ্যে থেকে ইন্ধন জুগিয়েছেন।
পুলিশের সাফাই, পুলিশ কখনও মাথায় আঘাত করে না। পুলিশ মারলে গায়ে মারে। ফলে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ডাহা মিথ্যা। অর্জুন সিংয়ের সমর্থকরাই ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে এলাকায় হিংসা ছড়াতে। নিজের পাতা ফাঁদে পড়েই নিজের মাথা ফেটেছে। পুলিশের এই সাফাইকে একহাত নিয়ে মমতার পুলিশকে পাল্টা বিঁধলেন দিলীপ।
[আরও পড়ুন:সব্যসাচীও চলতি হাওয়ার পন্থী! মুকুল-দিলীপের বন্দনায় রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ চূড়ান্ত ]