তোষামোদ আর স্তাবকতায় ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ আজ ‘বেস্ট বেঙ্গল’ হয়েছে, মমতাকে খোঁচা দিলীপের
অস্বস্তি এড়াতে শিল্পপতিদের এই প্রশংসাকে ‘স্তাবকতার সার্টিফিকেট’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
মোদী ঘনিষ্ঠ শিল্পপতিরা রাজ্যে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মুকেশ আম্বানি তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাকে 'বেস্ট বেঙ্গলে'র সার্টিফিকেট দিয়ে গিয়েছেন। আর তাতেই অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। তাই এবার অস্বস্তি এড়াতে শিল্পপতিদের এই প্রশংসাকে 'স্তাবকতার সার্টিফিকেট' বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বুধবার নোয়াপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'শিল্পপতিদের বাংলায় ডেকে এনে তোষামোদ করে স্তাবকতার সার্টিফিকেট নিচ্ছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরাও চাই আমাদের বাংলা 'বেস্ট বেঙ্গল' হোক। কিন্তু বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছেন- পশ্চিমবঙ্গ ভালোর দিক থেকে এক নম্বর হচ্ছে না। খারাপের দিকে দু-নম্বরি হয়ে যাচ্ছে বাংলা।'
দিলীপ ঘোষের কথায়, 'মুখ্যমন্ত্রী বেঙ্গল সামিটে বলেছেন, বাংলা কোন কোন ক্ষেত্রে এক নম্বরে। সেটা কতদূর সত্য, তা বিবেচনা সাপেক্ষ্য। তবে নারী নির্যাতন, নারী পাচার ও শিশু পাচার ও হিংসায় এই মুহূর্তে দেশের এক নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। মঙ্গলবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আম্বানি-মিত্তাল থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশের শিল্পপতিরা বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করে যান। কিন্তু যে শিল্পবান্ধব পরিবেশের বর্ণনা করেছেন সবাই, তা যে বাংলায় নেই, সেকথা আজ সবাই জানেন।'
এ প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী তোষামোদ করে স্তাবকতার সার্টিফিকেট লাভ করেছেন বলে কটাক্ষ দিলীপবাবুর। দিলীপবাবু ব্যাখ্যা করেন, 'শিল্পপতিদের একথা বলতে হয়েছে, তার কারণ এ রাজ্যেও তাঁদের ব্যবসা রয়েছে। তাঁদের ব্যবসা করতে হবে বলেই এত প্রশংসা। কেননা দিদিমণিকে ক্ষেপিয়ে তো ব্যবসা করা যাবে না রাজ্যে!' ব্যবসা লাটে ওঠার হাত থেকে বাঁচাতেই এই প্রশংসা বলে দিলীপবাবুর অভিযোগ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বাংলায় অনৈতিক কাজের কারিগর হল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের আমলে রাজ্যে কখনও ভালো কাজ হতে পারে না। বাংলায় পরিবর্তন এনে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপিই। আর তা উলুবেড়়িয়া-নোয়াপাড়ার নির্বাচন দিয়েই শুরু হবে বলে আমার বিশ্বাস।' এদিন প্রচার চলাকালীন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'রাজ্যে পরিবর্তনের পরিবর্তন আনবে বিজেপিই।'