বড় দেরিতে বোধোদয় মমতার, মুখ্যমন্ত্রীর ‘আদরের কেষ্ট’কে নিয়ে সমালোচনায় দিলীপ
এতদিন পর বোধোদয় হল আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর মনে হল হিংসাত্মক কথা বলা উচিত নয়।
'প্রধানমন্ত্রীর জিভ টেনে ছিঁড়ে নেবেন বলে হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তখনও মুখে রা করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন পর বোধোদয় হল আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর মনে হল হিংসাত্মক কথা বলা উচিত নয়। কিন্তু কেন এমন মনে হল তাঁর', প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
[আরও পড়ুন:রাজ্য বিজেপির 'শীর্ষ' পদে বসছেন মুকুল! পদ মিললেই তাঁর অগ্নিপরীক্ষা শুরু]
বর্ধমানের কাঁকসার জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁর আদরের অনুব্রতকে। বলেছিলেন, 'কেষ্ট, আমি লাস্টবার তোমাকে সতর্ক করে দিচ্ছি। ওই ধরনের কথা আমি বরদাস্ত করব না।' তারপরই অনুব্রত মণ্ডল নরম হয়েছেন। দিদির কথা শিরোধার্য করেছেন।
দিলীপবাবুর কথায়, 'বড্ড দেরি করে মুখ্যমন্ত্রী সবক শেখালেন তাঁর আদরের কেষ্টকে। আরও আগে নেত্রীর সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।' বুধবার ঝাড়গ্রামে দলীয় সভার ফাঁকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, 'দু-বছর ধরে বাজে হকে চলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী চুপচাপ তা সহ্য করে গিয়েছেন। আজ তিনি ধমক দিয়েছেন, তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এতদিন পরে বুঝেছেন, তৃণমূলের হিংসার রাজনীতি ভালোভাবে নিচ্ছে না।'
[আরও পড়ুন:ব্যবসায় অর্থ সাহায্য দেবে সরকার, ৫০ হাজারই ৫০ লক্ষ হবে, বার্তা মমতার]
দিলীপবাবু বলেন, 'বিজেপি স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বিজেপি বাংলায় সেই স্বচ্ছ রাজনীতিই করছে। আর তার পাশে তৃণমূলের হিংসার রাজনীতি ফিকে হতে শুরু করেছে। মানুষ আর ওসব ভালো চোখে দেখছে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী অনুব্রতকে ধমকে সোজা পথে আনতে চাইছেন তিনি।'এদিন কেরলে যুবকের মৃত্যুতে তৃণমূলের নীরব থাকার সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ। খোঁচা দেন ৫০ হাজার টাকায় চা দোকান ও তেলেভাজা শিল্প নিয়েও।