মুকুল রায়ের সঙ্গে সখ্যতাই কৈলাশের সমালোচনার কারণ, মেজাজে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি
রাজ্য বিজেপিতে ফের মুকুল-দিলীপ দ্বন্দ্বই প্রকট হল। দিলীপ ঘোষ কৈলাশের সমালোচনায় মুখর হওয়ার নেপথ্যে মুকুল রায়ই কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ।
রাজ্য বিজেপিতে ফের মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষ দ্বন্দ্বই প্রকট হল। দিলীপ ঘোষ কৈলাশের সমালোচনায় মুখর হওয়ার নেপথ্যে মুকুল রায়ই কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মুকুল রায় রয়ে গিয়েছেন আড়ালেই। আজও পদ মেলেনি তাঁর।
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কেও একহাত
এই অবস্থায় কেন্দ্র তাঁর উপর আস্থা রাখায় কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কেও একহাত নিতে পিছপা হলেন না। কৈলাশের ভুল ধরিয়ে দিয়ে দিলীপ বলেন, এক-একজনের এক এক রকম ধারণা থাকে। সবাই যে একই ভাববে এর কোনও মানে নেই। তিনি বলেন, চিঁড়ে তো বেশ ভালো খাবার। কৈলাশকে এই খোঁচা দেওয়ার পিছনে আবার রাজনৈতিক মহল অন্য ব্যাখ্যা খুঁজছে।
মুকুল-কৈলাশরাও বাদ যাচ্ছেন না
রাজনৈতিক মহল মনে করে, সদ্য দ্বিতীয়বারের জন্য বঙ্গ বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তরপরই তিনি ফ্রন্টফুটে খেলতে শুরু করেছেন। তিনি যেমন বিরোধীদের বিঁধছেন চাঁছাছোলা ভাষায়, তেমনই দলের নেতাদেরও সমালোচনা করছেন। মুকুল-কৈলাশরাও তাই বাদ যাচ্ছেন না।
বঙ্গ বিজেপির অন্তর্কলহের ছবি বেরিয়ে পড়ল
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার নেপথ্যে বঙ্গ বিজেপির অন্তর্কলহের ছবি লুকিয়ে আছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে মুকুল রায়ের সমীকরণ অতি ভালো। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ জমে না। আর মুকুলকে দলে আনার পিছনে কৈলাশের বড় ভূমিকা ছিল। তাই দিলীপ জবাব দিতে কুণ্ঠা করলেন না কৈলাশকে।
কৈলাশের পোহা মন্তব্যের সমালোচনায়
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের এক জনসভায় কৈলাশ জানান, তাঁর বাড়িতে নির্মাণ কাজ করতে এসেছিলেন কয়েকজন। তিনি দেখতে পান শ্রমিকরা পোহা খাচ্ছেন। তাঁদের বিচিত্র খাদ্যাভাস দেখে তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। সন্দেহ হয়েছিল, শ্রমিকরা বাংলাদেশি বলেই পোহা খাচ্ছেন। কৈলাসের এহেন মন্তব্যের পর সমালোচনা হয় দেশজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
দলের নেতার সমালোচনাতেও আগ্রাসী দিলীপ
কৈলাশ এবার আক্রমণের মুখে পড়লেন নিজের দলেই। বাংলার পর্যবেক্ষককে বিঁধলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কৈলাশকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আমি চিঁড়ে খাই। তাই চিঁড়ে খেলেই বাংলাদেশি নন। কৈলাশজির ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের দলের নেতার সমালোচনাতেও আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা দিল তাঁকে।
ধ্যপ্রদেশ-মহারাষ্ট্রের মানুষও চিঁড়ে খান
দলের কেন্দ্রীয় নেতার সমালোচনায় দিলীপ ঘোষ বলেন, বাংলার মানুষের খাবারে চিঁড়ে অন্যতম একটা উপাদান। বাংলা তো বটেই, মধ্যপ্রদেশ-মহারাষ্ট্রের মানুষও চিঁড়ে খান। আর আমার খুব পছন্দের খাবার চিঁড়ে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চিঁড়ে খুব পছন্দ করেন।