বামেদের থেকে বড় ভুল করেছেন মমতা! মুখ্যমন্ত্রীর হাতে টাকা দিলে পেট্রোলের মতো উধাও, কটাক্ষ দিলীপের
কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে বিধানসভা ভোট হবে। তৃণমূলের নেতা থেকে রাজ্য পুলিশ কেউই ভোট কেন্দ্রের কাছে ঘেঁষতে পারবে না। এদিন সিঙ্গুরের সভা থেকে ফের এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। এ
কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে বিধানসভা ভোট হবে। তৃণমূলের (trinamool congress) নেতা থেকে রাজ্য পুলিশ কেউই ভোট কেন্দ্রের কাছে ঘেঁষতে পারবে না। এদিন সিঙ্গুরের সভা থেকে ফের এই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। এদিন বিকেলে তিনি সিঙ্গুরের বলরামবাটি পঞ্চায়েতের বুড়ি গ্রামের কৃষকদের সঙ্গে চা চক্রে যোগ দেন।
তৃণমূলে শুরু থেকে শেষ, দু'দশকের বেশি সময়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু
কৃষকদের কথা শুনতে সিঙ্গুরে
সিঙ্গুরে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, জমি রক্ষার আন্দোলনের জন্য এলাকার নাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু যার জন্য তারা আন্দোলন করেছিলেন, সেই অধিকার কি তাঁরা পেয়েছেন। আজ সেখানে যেমন কারখানা নেই, চাকরি নেই, তেমনই চাষও নেই। কিন্তু সিঙ্গুরের জমি উর্বর। সিঙ্গুরের কৃষকদের সমস্যার কথা শোনার জন্যই তিনি সেখানে গিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
বামেদের থেকে বড় ভুল করেছিলেন মমতা
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, সিঙ্গুরের বহু ফসলি জমিতে কারখানা করার সিদ্ধান্ত বামেদের ভুল ছিল। কিন্তু তার থেকে বড় ভুল হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মানুষের পেটে লাথি মারলেন এবং জিতে গেলেন।
চাষে মুনাফা লুটছে দালালরা
এদিন
তিনি
আলুর
দাম
বৃদ্ধি
নিয়ে
রাজ্য
সরকারকে
একহাত
নেন।
তিনি
বলেন,
গত
বছরে
পাইকারি
বাজারে
আলু
ছয়টাকা
কিলো
হয়ে
গেলেও
এবার
খুচরো
বাজারে
আলুর
দাম
৪০
টাকা।
রাজ্যের
আলু
বিহার,
ওড়িশা,
ঝাখণ্ডে
যেত।
কিন্তু
দিদিমনি
তা
বন্ধ
করে
দিয়েছেন।
এখন
দালালরা
হিমঘরে
আলু
রেখে
মুনাফা
লুটছে।
কটাক্ষ
করে
তিনি
বলেন,
কৃষকরা
খরচ
করে
আলু
চাষ
করেন,
আর
দালালরা
মুনাফা
লোটে।
আলুর
সঙ্গে
রাজ্যে
ধানেও
দালাল
রাজের
অভিযোগ
করেন।
তিনি
বলেন,
রাজ্য
সরকার
কৃষকদের
থেকে
ধান
না
কিনে
দালালদের
থেকে
কেনে।
বিজেপি আসলেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে সাহায্য
এদিন তিনি ফের একবার পিএম কিষাণ সম্মান নিধি এবং আয়ুষ্মাণ ভারত রাজ্যে চালু না হওয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সারা দেশের কৃষকরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পে ১৪ হাজার টাকা করে সাহায্য পেলেও, রাজ্যের কৃষকরা তা পায়নি। রাজ্যে স্বাস্থ্য প্রকল্পে আয়ুষ্মাণ ভারতও লাগু করা হয়নি। তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি সরকার এলেই কেন্দ্রীয় প্রকল্প লাগু করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর হাতে টাকা দিলে পেট্রোলের মতো উধাও
এদিন দিলীপ ঘোষ ফের আম্ফানের কেন্দ্রীয় সাহায্য লুটের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, আম্ফানের হাজার কোটি টাকা গায়েব হয়টে গিয়েছে। টাকা পেয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাদের আত্মীয়রা। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হাতে টাকা দিলে পেট্রোলের মতো উধাও হয়ে যায়।