বলবিন্দর সিংকে নিয়ে ফের নিশানা! মমতাকে ভারতীয় সংস্কৃতির পাঠ দিলেন দিলীপ
বলবিন্দর সিংকে নিয়ে ফের নিশানা! মমতাকে ভারতীয় সংস্কৃতির পাঠ দিলেন দিলীপ
বহু বিশিষ্ট মানুষ পাগড়ি বিতর্কের নিন্দা করেছেন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রীর (mamata banerjee) উচিত সারা দেশ এবং শিখ সমাজের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। পাশাপাশি বলবিন্দর সিং-এর মুক্তির দাবিও করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গকে দাঁড় করানোর সুযোগ এসেছে
বিপদ আসলে মানুষের মনে ইচ্ছা, উৎসাহ বেড়ে যায়। যদি মানুষ চ্যালেঞ্জ নিতে পারে, তাহলে নতুন নির্মাণ শুরু হয়। তিনি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি রাজ্যকে দাঁড় করানোরও সুযোগ এসেছে।
নবান্ন অভিযানে নক্কারজনক ঘটনা
দিলীপ ঘোষ বলেন, দলের নবান্ন অভিযানের দিন নক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে। লাইসেন্স রিভলবার থাকা একজন প্রাক্তন সেনা জওয়ানকে, এক শিখ ধর্মাবলম্বীকে অপমান করা হয়েছে। তাঁর চুল ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশের এই ব্যবহারে সবাই কষ্ট পয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সরকার স্বীকার করতে চাইছে না
দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা দেশে ছিঃ ছিঃ শুরু হয়েছে ওই ঘটনা নিয়ে। কিন্তু সরকার বাস্তবে তা স্বীকার করতে চাইছে না। পুলিশের অপকর্ম ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বলবিন্দর সিংকে মুক্তি দেওয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রবিবার দিল্লি থেকে শিখ গুরুদ্বরা কমিটির সদস্যরা যে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন, তারও উল্লেখ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিং এই ঘটনার নিন্দা করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ক্ষমা চাওয়া
দিলীপ ঘোষ বলেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সারা দেশ ও শিখ সমাজের কাছে এব্যাপারে ক্ষমা চাওয়া। যেভাবে বলবিন্দর সিংকে চুল খুলে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা ভারতীয় সংস্কৃতি কল্পনা করা যায় না। বলেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি সরকারের উচিত এই ঘটনায় ক্ষমা চাওয়া।
রাজ্যপালের প্রশ্নের উত্তর নেই সরকারের কাছে
তৃণমূলের অভিযোগ রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল যেসব প্রশ্ন তুলছেন, তার কোনও উত্তর এই সরকারের কাছে নেই। সংবিধান, আদালত, গণতন্ত্র কিছুই মানছে না রাজ্য সরকার। সেই কারণেই রাজ্যপালকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে।
সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর উৎসবের মরশুমে! নির্মলা সীতারমনের বড় ঘোষণা