মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিচারি! বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তুলে ধরলেন একের পর এক উদাহরণ
বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ দ্বিচারি।
বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান নিয়ে কটাক্ষ করলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আচরণ দ্বিচারি। গণতন্ত্রের মাপকাঠি কী, তাও তিনি জানতে চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
'বনধে নৈতিক সমর্থনের কথা বলে দ্বিচারিতা'
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বামেদের ইস্যুতে নৈতিক সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বাংলায় কোনও বনধ হবে না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আগামী ৮ জানুয়ারি বাম ও কংগ্রেসের ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন করা হবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থানকেই কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, তিনি বনধের ইস্যুকে সমর্থন করছেন, কিন্তু বনধকে সমর্থন করছেন না। এর অর্থ কী?
'জামিয়া মিলিয়ায় লাঠি খারাপ, কিন্তু যাদবপুরে লাঠি ভাল'
দিলীপ ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, জামিয়া মিলিয়ায় পড়ুয়াদের ওপর লাঠি চালনা হলে খারাপ কিন্তু যাদবপুরের ছাত্রছাত্রীদের ওপর লাঠি চালনা যুক্তি সঙ্গত। এটা কোনও ধরনের অবস্থান, প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।
২০০৫-এ অবস্থান আর ২০১৯-এ অন্য অবস্থান
২০০৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে অধ্যক্ষকে চাদর ছুড়েছিলেন। সেই সময় রাজ্যে বামেরা ছিল ক্ষমতায়। কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিয়ে তৎপর নন। সিএএ, এনআরসি নিয়ে এর আগে অভিযোগ করেছিলেন দিলীপ ঘোষের।
গণতন্ত্রের মাপকাঠি কি প্রশ্ন দিলীপের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করুন। কিন্তু সেই গণতন্ত্রের মাপকাঠি কী। রাজ্যে বিজেপির আন্দোলনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ।
সিএএ-ও মানবেন মমতা, বলেছিলেন দিলীপ
দিলীপ
ঘোষ
জানিয়েছিলেন,
এর
আগে
তিনতালাক,
সংবিধানের
৩৭০
ধারা
বাতিলের
বিরোধিতা
করে
আন্দোলন
করেছিলেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু
তিনি
ব্যর্থ
হয়েছেন।
এবার
সিএএ-র
বিরুদ্ধেও
আন্দোলন
করেছেন।
কিন্তু
তিনি
কিছুই
করতে
পারেননি।
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
যা
যা
আটকানোর
চেষ্টা
করেছেন,
কোনওটাই
পারেননি।
মন্তব্য
করেছিলেন
দিলীপ
ঘোষ।
কটাক্ষ
করে
দিলীপ
ঘোষ
বলেছিলেন,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
কান
ধরে
মানতে
হবে
সিএএ।
কেননা
এর
আগে
তিনি
জিএসটি
থেকে
নোট
বাতিল
সব
কিছু
নিয়ে
আন্দোলন
করেছেন।
কিন্তু
পরে
সবকিছুই
মেনে
নিতে
বাধ্য
হয়েছেন।