অনুব্রত মণ্ডলের মহাযজ্ঞ বিজেপির জন্য! 'প্রমাণ' দিয়ে জল্পনা বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ
কঙ্কালীতলা মন্দিরে মহাযজ্ঞ করা নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে (anubrata mondal) নিশানা করলেন বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (dilip ghosh)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে হওয়া যজ্ঞের পর ৪ হাজার দরিদ্রকে খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হয়।


অনুব্রত মণ্ডলের মহাযজ্ঞ
বুধবার বোলপুরের কাছে কঙ্কালীতলা মন্দিরে মহাযজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই যজ্ঞে ৪০ কেজি ঘি ও ১২৮ কুইন্টাল কাঠ ব্যবহার করা হয়। একদিকে যেমন এই যজ্ঞের জন্য ১২ জন পুরোহিতকে আনা হয়েছিল, অন্যদিকে জেলা সভাপতি ছাড়াও জেলার মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যজ্ঞের পর সেখানে খাওয়াদাওয়ারও আয়োজন ছিল। অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, ভোটে তৃণমূলের ফল ভাল হবে এবং ঘাসফুল শিবির ফের ক্ষমতায় আসবে। বীরভূম জেলা তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস ২২০ থেকে ২৩০ টি আসন দখল করে ক্ষমতায় আসবে।

দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ
এদিন সকালে সেন্ট্রাল পার্কে প্রাতর্ভ্রমণে যাওয়া বিজপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কটাক্ষ করে বলেন, উনি তো লোকসভা নির্বাচনের আগেও ব্রাহ্মণ ভোজন ও গোদান করেছিলেন। তার পরিণামে ১২ টা আসন চলে গিয়েছিল তৃণমূলের। এবার ১২০ টি আসন প্রার্থনা করুন, ভগবান যদি দয়া করেন। তিনবি দাবি করেন, বিজেপি তো ২০০ আসন পাচ্ছেই। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, সারাবছর লুটপাট করে, এখন ভগবানকে ঘুষ দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও রুপোর মুকুট পরা অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। দিন কয়েক আগে নানুরে দুকেজি ওজনের রুপোর মুকুট পরার পর বিজেপিকে পগারপার করার নিদান দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যার উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, স্থানীয়রাই এর জবাব দেবেন।

সভার অনুমতি না দেওয়া নিয়ে পুলিশকে নিশানা
এদিন প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, যে মাঠে তারা সভা করতে চান, সেই মাঠে সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে অনুমতি দেওয়া হলেও, বলা হচ্ছে অন্য কোনও জমিতে পা দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন অনুমতি দেওয়া হলেও, নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খুব বেশি দিন এইভাবে চালানো যাবে না।

বাগবাজারে চক্রান্ত হয়েছে
বুধবার রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গিয়েছে বাগবাজার ঝুপড়ির বিস্তীর্ণ অংশ। ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, সেখানে পুলিশ লাঠি চালিয়েছে, অন্যদিকে জনগণ সাংসদের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছে। তিনি বলেন, সরকারে দেখা উচিত, যাতে অসহায় মানুষগুলো সেবা পান। তিনি বলেন, এর আগে কলকাতার বহু বস্তি ও বাজারে আগুন লাগানো হয়েছে। বাগবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত দাবি করেন তিনি।
মুকুল রায়কে নিয়ে কোন প্রশ্ন ধৃত কেডি সিংয়ের মুখে! রাজনৈতিক তোপ পাল্টা তোপের মাঝেই নয়া মন্তব্য খবরে