মমতার বাড়িতে হাজির হয়ে পা ছুঁয়ে প্রণাম শোভন-বৈশাখীর! তৃণমূলে ফেরার জল্পনায় দিলীপ গাইলেন সাফাই
সবাইকে অবাক করে দিয়ে দিদির বাড়িতে হাজির শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাজ্জব রাজনৈতিক মহল, তাজ্জব বিজেপিও।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে দিদির বাড়িতে হাজির শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাজ্জব রাজনৈতিক মহল, তাজ্জব বিজেপিও। যাঁকে ঘটা করে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল, সেই শোভনই বিজেপিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে উপস্থিত হন। তারপরই মুখ বাঁচাতে আসরে নামে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দেন সাফাই।
শোভন-মমতা সাক্ষাৎ, নিতান্তই সৌজন্য!
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, এটা নিতান্তই একটা সৌজন্য। দীর্ঘদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে ছিলেন। বরাবর ভাই হয়ে ফোঁটা নিয়েছেন দিদির কাছে। তাই এবারও দিদির ডাক ফেলতে পারেননি। একান্তই ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শোভনদা গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। দিদির হাতে ফোঁটা নিয়েছেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতির শোভন-সাফাই
মুখ বাঁচাতেই দিলীপ ঘোষ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কে কার হাতে ফোঁটা নেবে, সেটার সঙ্গে রাজনীতি না গুলিয়ে ফেলাই ভালো। পুরনো সম্পর্ক শোভন-মমতার। শোভন তাই ফোঁটা নিতেই পারেন। এমনই ব্যাখ্যা বিজেপি রাজ্য সভাপতির। কিন্তু বিজেপি রাজ্য সভাপতি যা-ই বলুন, রাজনৈতিক মহল কিন্তু অন্যরকম গন্ধ পে্তে শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই।
বিজেপির কাছে অশনি-সংকেত!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভনের আগমন অর্থাৎ প্রায় এক বছর পর মমতা-শোভন সাক্ষাৎ বিজেপির কাছে অশনি-সংকেত। উল্লেখ্য, নভেম্বরে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তারপর একে একে সমস্ত পদ থেকেই সরে যান তিনি। তিনমাস আগে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে।
জল্পনা শুরু শোভনের ঘরওয়াপসি নিয়ে
১৪ আগস্ট বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে ও বৈশাখীকে নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। দেবশ্রী রায়কে নিয়ে বিতর্কের শুরু। তারপর শোভনের সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে ডাল-ভাত বিতর্কে সুর পঞ্চমে ওঠে। ক্রমেই দূরে সরে যেতে থাকেন শোভন। বিজেপিতে গিয়ে মুক্ত বাতাস পাননি মমতার স্নেহের কানন। শেষমেশ জল্পনা শুরু হয় তাঁর ঘরওয়াপসি নিয়ে।
শোভনের ঘরওয়াপসির প্রথম পদক্ষেপ!
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এদিন শোভনের ঘরওয়াপসির প্রথম পদক্ষেপ ঘটে গেল ভাইফোঁটায় মমতার বাড়িতে পদার্পণ করে। অদূর ভবিষ্যেত তিনি যে ফের তৃণমূলের ভিড়তে চলেছেন, সেই ইঙ্গিত দিয়েই রাখলেন তিনি। এদিন রাজনৈতিক মহল আরও একটি সময়োপযোগী একটা প্রশ্ন তুলে দিল, আদৌ কি বিজেপিতে ছিলেন শোভন! এখন ফের জল্পনা শুরু হয়ে গেল তাঁর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে।