মমতার ফোনে আড়ি পাতছে কেন্দ্রের মোদী সরকার! কী প্রমাণ আছে জানতে চাইলেন দিলীপ
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোনে যে কেন্দ্রীয় সরকার আড়ি পাতছে তার কী প্রমাণ আছে। জবাব চাইলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আসলে ভোটে হেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্টোপাল্টা বকতে শুরু করেছেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শ দেন, যেটুকু সময় আছেন সঠিকভাবে কাজ করার।

পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীকে
দিলীপ ঘোষের কথায়, এটাই অবশ্যা স্বাভাবিক। হেরে গেলে এসব কথাই বলে সবাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর অন্যথা করছেন না। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় শেষ হয়ে এসেছে। আর বেশিদিন তিনি কুর্সিতে নেই। তাই যতদিন আছেন, কালবিলম্ব না করে কাজ করুন।

একা দিলীপই নন গর্জে উঠলেন কৈলাশও
একা দিলীপই নন, বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফোন-ট্যাপ বা ফোনে আড়িপাতা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে কৈলাশ বলেন, মমতার সরকারও ফোন ট্যাপ করে। তাদের উচিত আগে নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখা। তারপর অন্য কারও বিরুদ্ধে আঙুল তোলা।

আদালতে গিয়েছিলেন মুকুলও
উল্লেখ্য, ফোনে আড়িপাতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। সুপ্রিম কোর্ট যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ফের তাঁর ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে কামান দাগলেন কৈলাশ। গর্জে উঠলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মোদী সরকারকে তীব্র নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকারের তরফে তাঁর ও তাঁর অফিসিয়ালদের ফোনগুলিকে ট্যাপ করা হয়েছিল। ফলে কোনও হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ ঢুকছিল না ফোনে। লোকসভা নির্বাচনের সময়ের এই ঘটনা নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।