বিজেপি বিধায়কদের দলবদলের জল্পনা অভিষেক-যোগে! দিলীপ দিলেন মোক্ষম জবাব
বিজেপি বিধায়কদের দলবদলের জল্পনা অভিষেক-যোগে! দিলীপ দিলেন মোক্ষম জবাব
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ছোটো করে দরজা খুলবেন বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে দুই বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে সাক্ষাৎ জল্পনা ঘিরে দিনভর গুঞ্জন চলেছে।
এবার সেই গুঞ্জন নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি যথারীতি প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এই প্রশ্ন নিজস্ব ভঙ্গিতে উড়িয়ে বাইন্ডারি সীমানার বাইরে ফেলে দিয়েছেন। সব জল্পনার জবাব তিনি একথায় দিয়েছেন কৌতুহলী রাজনৈতিক মহলকে।
অভিষেক দরজা খোলার কথা বলেছিলেন, তাই জল্পনা
গত রাত পর্যন্ত অভিষেকের অফিসে দুই বিজেপি বিধায়কের আগমন নিয়ে চর্চা চলেছে। তাদের মধ্যে একজন উত্তরবঙ্গের, অন্যজন রাঢ়বঙ্গের বলে জানা গিয়েছে। তবে কী কারণে তাঁদের আগমন তা স্পষ্ট হয়নি। যেহেতু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দরজা খোলার কথা বলেছিলেন, সেই কারণেই দলবদলের জল্পনা শুরু হয়।
দরজা ফাঁক নয় খুলতেই চাই, সময় এলেই খোলা হবে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনসমক্ষে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, আমি দরজা খুললে বিজেপিটাই নিঃশেষ হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একটু ছোটো করে দরজাটা ফাঁক করতে চাই। আবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কর্মসমিতির বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, দরজা ফাঁক নয়, খুলতেই চাই। সময় এলেই খোলা হবে।
দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন, যথাযথ কাউন্টার
তার ফলে অভিষেকের অফিসে এসে বিজেপি বিধায়কদের সাক্ষাতে দলবদলের জল্পনার সূত্রপাত। তা নেহাতই জল্পনা, নাকি সত্যি তার উত্তর মিলবে ভবিষ্যতে। কিন্তু চর্চার শেষ হচ্ছে না কিছুতেই। যার ফলে এদিন সকালেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। তার উত্তরেও যথাযথ বিবৃতি দিয়েছেন দিলীপবাবু।
বিজেপি বিধায়কদের দলবদল জল্পনা নিয়ে দিলীপ
দিলীপ ঘোষ সোজাসাপ্টা বলেন, যার দিকে আঙুল উঠবে, তাকেই উত্তর দিতে হবে। কে গেছেন, কোথায় গেছেন তিনি জানেন না। তারপর তিনি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তায় বলেন, হয়তো শীত পড়েছে, তাই একসাথে চা খেতে গেছেন। অর্থাৎ দিলীপবাবুও উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তবে গোপন বৈঠকের কারণ কী, কারা গিয়েছেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি।
দুই শিবিরই ভাঙনের খেলায় মেতেছে, জল্পনা বাড়ছে
পঞ্চায়েত বোট আসতেই দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছে। দু-পক্ষই দাবি করছে, তাদের বিধায়করা যোগাযোগ রাখছেন। মিঠুন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল যেমন নানা সংখ্যা জানিয়ে বিভ্রান্ত করছেন, তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষরাও দরজা খোলার বার্তায় জল্পনার পারদ চড়িয়ে দিচ্ছেন। এই খেলা শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত এই খেলা চলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
চাপের মুখে অবস্থান বদল, বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ উঠল, বয়কটে অনড় আইনজীবীদের একাংশ