গুরুংকে টার্গেট করেই পাহাড়ে প্রাণ ঝরাচ্ছে তৃণমূল, মমতাকে নিশানা দিলীপের
বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরে এলে ফের সবাই তাঁর সঙ্গেই যাবেন। তাই তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, গুলি চালিয়ে গুরুংকে শেষ করে দিতে চাইছে তৃণমূল।
পাহাড়ে একাধিপত্য স্থাপন করতেই বিমল গুরুংকে প্রাণে মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই কারণেই পাহাড়ে মোর্চা সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে গুলির লড়াই চলছে। প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে মোর্চা সমর্থকদের। পাহাড়ে অশান্তির জন্য ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করলেন দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার সকালে হুগলি জেলায় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে তিনি হরিপালে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে যান। সেখানেই পাহাড় ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, পাহাড়ে মোর্চা সমর্থকদের মেরে তৃণমূলকর্মীর সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিলীপবাবুর আরও অভিযোগ, তৃণমূল পাহাড়ে প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াতে এখন টার্গেট করেছে বিমল গুরুংকে। সেই কারণেই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে গুরুং-নিধন যজ্ঞ চালানো হচ্ছে। সেই কারণেই গুলি চালানো হচ্ছে পাহাড়ে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি এই ঘটনায় প্রকারান্তরে সমর্থন করলেন বিমল গুরুংকেই।
উল্লেখ্য, বিমল গুরুংয়ের খোঁজে পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে খবর পায় তাকভারের জঙ্গলে গোপন ঘাঁটিতে এসেছেন মোর্চা সুপ্রিমো। সেইমতোই পুলিশি অভিযান চালানো হয়। এরপরই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে গুরুং-বাহিনীর সদস্যরা। এই গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয় অমিতাভ সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের। একজন মোর্চা সমর্থকের মৃত্যু হয় বলেও দাবি মোর্চার। বিমল গুরুং রঙ্গিত নদী পেরিয়ে পালিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে।
দিলীপবাবুর কথায়, গুরুংয়ের খোঁজে মরিয়া প্রশাসন। তাঁকে শেষ করে দেওয়ার জন্য এসব ফাঁদ পাতা হচ্ছে। কেননা সরকার ভয় পাচ্ছে, বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরে এলে ফের সবাই তাঁর সঙ্গেই যাবেন। তাই যেখানে সেখানে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ। সিকিমে গিয়েও গুলি চালিয়েছে, আবার পাহাড়েও গুলি চলল। সরকারের পরিকল্পনামাফিকই এসব চলছে। তৃণমূলের জন্যই পাহাড়ে হিংসা জারি রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।