কোন অভিষন্ধিতে আত্মসমর্পণ গুরুংয়ের, দিলীপের দাবি ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
কোন অভিষন্ধিতে আত্মসমর্পণ গুরুংয়ের, দিলীপের দাবি ঘিরে বাড়ছে জল্পনা
মহাপঞ্চমীর সন্ধ্যায় রাজ্য রাজনীতিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন ফেরার মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। হঠাৎ করে প্রকাশ্যে এসে একেবারে তৃণমূলের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বিমল গুরুংয়ের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে কোন ছক রয়েছে তা ফাঁস করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি দাবি করেছেন ক্ষমতার লোভেই একুশের ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বিমল গুরুং। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েক মাস আগে বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল বিমল গুরুংকে।
তৃণমূলে বিমল
বিজেপির সব সমীকরণ গোলমাল করে দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে আত্মসমর্পণ করেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। গত কয়েক বছর ধরে ফেরার ছিলেন তিনি। রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তারপরে শাসক দলের কাছে বিমল গুরুংয়ের আত্মসমর্পণ তাও আবার একুশের ভোটেপ আগে হইচই ফেলে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
দিলীপের দাবি
ক্ষমতার লোভেই বিমল গুরুং তৃণমূলের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। অথচ কয়েক মাস আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল বিমল গুরুংকে। পাহাড় থেকে ফেরার হয়ে যাওয়ার পর দিল্লিতে জেপি নাড্ডার বিয়েতেই তাঁকে প্রথম দেখা যায়। গুরুকে বিজেপি আশ্রয় দিয়েছে বলে সরব হয়েছিল শাসক দল।
গুরুংয়েক ফেরানোর নেপথ্যে কে
গুরুংকে আবার মমতার কাছে আত্মসমর্পণ করানোর পিছনে বড় মস্তিষ্ক কাজ করেছে। সূত্রের খবর তৃণমূলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকে স্যারই রয়েছেন এই কর্মকাণ্ডের নেপথ্যে। গত কয়েক মাস ধরেই গুরুংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন পিকে স্যার। রাজ্যের তিন মন্ত্রীও তাতে সহযোগিতা করেছেন বলে সূত্রের খবর।
কোথায় ছিলেন গুরুং
পাহাড়ে অশান্তির পর সিকিম হয়ে সটান নেপালে গা ঢাকা দিয়েছিলেন গুরুং। নেপালের একটি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন তিনি। তারপরেই জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আসেন। তখন থেকেই শুরু হয় রাজনীতিক সমীকরণ। বুধবার শাসক দলে যোগ দিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিমল।
পুজোয় মানুষের সুবিধার্থে 'সুরক্ষা' মোবাইল অ্যাপ চালু পুলিশের