দিলীপ ঘোষ সভাপতি পদ হারাতে পারেন! আরএসএসের পদক্ষেপে জল্পনা শুরু একুশের আগে
দিলীপ সভাপতি পদ হারাতে পারেন! আরএসএসের পদক্ষেপে জল্পনা শুরু একুশের আগে
বঙ্গ বিজেপিতে কোন্দল থামছেই না! দিল্লির বৈঠকের পর থেকে সমস্যার শেষ নেই। একের পর এক বিতর্ক চলছে। ২০২১ নির্বাচনের আগে দলে তৈরি হয়েছে নেতৃত্ব সংকট। হঠাৎই দিলীপ ঘোষের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে বিজেপিতে। একদল দিলীপ ঘোষকে নিয়ে অসন্তুষ্ট। এমনকী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও চিঠি গিয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর।
যেভাবে বঙ্গ বিজেপি চলছে, পরিবর্তন অসম্ভব
এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির নেতত্ব নিয়ে বড় কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে আরএসএস। ২০২১ নির্বাচনের আগে বিজেপিতে নেতৃত্ব নিয়ে কোন্দল হোক সেটা চায় না তারা। তাই রাজ্যে পরিবর্তনের লড়াই শুরুর আগে বিজেপির অন্দরেও পরিবর্তনের ঢেউ উঠতে পারে। কেননা যেভাবে বঙ্গ বিজেপি চলছে, তাতে পরিবর্তন অসম্ভব।
বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, নির্বাচনে প্রভাব পড়তে বাধ্য
আরএসএস মনে করছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব সঠিক পথে চলছে না। হঠাৎ করেই একতা উধাও হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক দলে একাধিক গোষ্ঠী থাকে। কিন্তু বিজেপিতে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন আকার নিয়েছে যে, আসন্ন নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাই বিজেপিতে নেতৃত্ব বদলের জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিজেপিরই একটা শিবির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব
সম্প্রতি নেতৃত্ব নিয়ে দিল্লির বৈঠকে মুখ খোলে বিজেপিরই একটা শিবির। সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, তাঁরা পদে থাকলেও তাঁদের কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয় না। দু-একজনের অঙ্গুলিহেলনেই দল চলে। আদতে তাঁদের কোনও গুরুত্বই নেই দলে। এই বিক্ষোভের আঁচেই ঘৃতাহুতি পড়ে।
দিলীপের আস্ফালনের পরই আরএসএস নড়েচড়ে বসেছে
এরপর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে বসেন, আমি একাই পরিবর্তন করতে পারি। যাদের বিশ্বাস নেই, তাঁরা ঘরে বসে থাকুন। বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হলে মিষ্টি খেয়ে যাবেন। দিলীপ ঘোষের এই আস্ফালনের পরই আরএসএস নড়চড়ে বসে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিব্রত বোধ করছে আরএসএস
দিলীপ ঘোষ যদিও আরএসএস থেকে উঠে আসা নেতা, তবু বর্তমানে আরএসএসের মতাদর্শ লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিব্রত বোধ করছে আরএসএস। তারা এবার তারা অন্য ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনের আগেই যদি বিজেপিতে পরিবর্তন দেখেন অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।
আরএসএসের ভাবনায় রয়েছে একাধিক নাম
এই পরিস্থিতিতে আরএসএসের ভাবনায় রয়েছে একাধিক নাম। অবশ্যই তাঁরা বাঙালি, তবে বাংলার নন। উচ্চশিক্ষিত এবং গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই তাঁরা বেছে নিয়ে চাইছেন। এবং যাঁদের নিয়ে ভাবছে আরএসএস, তাঁরা অবশ্যই দক্ষ সংগঠক হবেন, সবাইকে নিয়ে কাজ করে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যেতে পারবেন দলকে।
ইতিমধ্যেই যাঁদের দক্ষতায় তুষ্ট হয়েছেন মোদী-শাহরা
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরএসএস এমন দু-তিনটি নাম ভেবেছে, যাঁরা বাংলার না হয়েও বাঙালি এবং তাঁদের ইতিমধ্যে দু-তিনটি নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁরা মোদী-শাহের অত্যন্ত কাছের জন। তাঁরা ইতিমধ্যেই তাঁদের দক্ষতা দেখিয়ে তুষ্ট করেছেন মোদী-শাহদের। এবার তাঁদেরকেই সামনে আনা হতে পারে। তাঁদেরই কেউ হতে পারেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
উত্তর প্রদেশের বাহুবলী অর্জুন, সেই রাজনীতি এখানে চলবে না, হুঁশিয়ার করলেন ফিরহাদ
{quiz_271}