জঙ্গলমহলের আন্দোলনেই রাজ্যে পরিবর্তনের সূচনা, পুরুলিয়ায় দাঁড়িয়ে আহ্বান দিলীপের
পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও রক্ত ঝরছে সবুজ বাংলায়। সোমবার পুরুলিয়া বলরামপুরকে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে মানুষকে বিচার দেওয়ার কথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পঞ্চায়েত ভোট মিটলেও রক্ত ঝরছে সবুজ বাংলায়। সোমবার পুরুলিয়া বলরামপুরকে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে মানুষকে বিচার দেওয়ার কথা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে থেকেই রাজ্য উত্তপ্ত। এমনকী ফলাফল বের হওয়ার পরও সন্ত্রাস চলছে। মানুষ এখন সেই নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের বিচার চাইছে।
পুরুলিয়ার বলবারমপুর ব্লকে আমটা গ্রামের জগন্নাথ টুডু, সিপুরডি গ্রামে ত্রিলোচন মাহাতো এবং শেষে ডাভা গ্রামে দুলাল কুমারের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। তিনটি ঘটনাতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তিন ঘটনাকেই আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইলেও, তা নিয়ে পুরুলিয়া এখন উত্তাল।
পুরুলিয়ার বলরামপুরে এই মর্মান্তিক ঘটনার পর বনধ থেকে শুরু করে বিক্ষোভ-অবস্থান চলেছে দফায় দফায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি এদিন সেই এলাকায় গিয়ে মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। তিনি বলেন, তিনটি গ্রামে ঘুরে দেখেছি, মানুষ বিচার চাইছেন। তাঁদের সঙ্গে অন্যায়ের বিচার চাইছে। সেই বিচার দেব আমরা। সেই কারণেই আমরা ছুটছি। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপচতির দরবার পর্যন্ত যাব, তবু সুবিচার দেবই এই পরিবারগুলোকে।
দিলীপ ঘোষের কথায়, জঙ্গলমহলে যে আন্দোলন চলছে, সেই আন্দোলনই বাংলায় রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। আমার মনে হয়, মানুষ এবার প্রতিবাদে গর্জে উঠতে শিখেছে। আর কেউ মুখ বুজিয়ে শাসকের অত্যাচার সহ্য করবে না। তারা তাঁদের অধিকার আদায় করে নেবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে বলরামপুর থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে তৃণমূল। এখানকার মানুষ সেই সংকল্প নিয়েছে। ওরা গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে পারেনি বলেই, সন্ত্রাসের পথে আমাদের শেষ করতে চাইছে। কিন্তু ওদের এই সাংঘাতিক প্রবণতাই ওঁদেরকে শেষ করে দেবে।