বিজেপিতে ‘মীরজাফর’দের খুঁজছেন দিলীপ! ২০২১-এর আগে গড়া হল শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি
বিজেপি এবার ‘ঘর শত্রু বিভীষণ’ খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বাংলায়। একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যের কর্মসমিটির বৈঠকে শৃঙ্খলারক্ষার দাওয়াইয়ের পাশাপাশি ঘরশত্রুদের পৃথক করার বার্তা দিল।
বিজেপি এবার 'ঘর শত্রু বিভীষণ' খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল বাংলায়। একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যের কর্মসমিটির বৈঠকে শৃঙ্খলারক্ষার দাওয়াইয়ের পাশাপাশি ঘরশত্রুদের পৃথক করার বার্তা দিল। এই মর্মে বিজেপিতে একটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সেই কমিটির মাথায় থাকছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দলের খবর কারা বাইরে পাচার করে দিচ্ছে
বিজেপি এখন জানার চেষ্টা করছে, দলের খবর কারা বাইরে পাচার করে দিচ্ছে। তাঁদের খোঁজাই এখন চ্যালেঞ্জ বিজেপির শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে। বিজেপির রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকে এক সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন এক শ্রেণির মিডিয়া দলকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। তাদের খবর পাচার করছে দলেরই লোক।
দিলীপ ঘোষকে মাথায় রেখে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি
বিজেপি নেতার ওই অভিযোগের পরই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কথা ওঠে। সেইমতো সিদ্ধান্তও হয়। দলের তরফে জানানো হয়েছে, আগেও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি ছিল। সেই কমিটিকে পুনর্গঠনের কথা বলা হয়েছে বৈঠকে। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে মাথায় রেখেই ওই কমিটি গড়া হচ্ছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য সভাপতিকেই।
মীরজাফরদের খুঁজবে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি
এই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাজ হবে মীরজাফরদের খুঁজে বের করা। মীরজাফররা দলের ক্ষতি করছে দলের অন্দরে থেকে। তাঁদের চিহ্নিত করা জরুরি। তাহলে দলের অন্দরের খবর বাইরকে যাবে না। দলকে হেয় প্রতিপন্নও হতে হবে না। আর মীরজাফরদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
২০২১-এর আগে সাবধানী বিজেপি
এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিজেপিকে কেন এখন দলের অন্দরের খবর চাপার কথা ভাবতে হচ্ছে। তবে কি সাম্প্রতিক যে দ্বন্দ্ব বিজেপিতে শুরু হয়েছিল, তা প্রকাশ্যে এসে পড়ায় বিজেপি বিব্রত বোধ করেছে। দিলীপ-মুকুলের দ্বন্দ্ব, শোভন-বৈশাখী সংবাদ-সহ নানা মুখরোচক খবর প্রকাশ হোক ২০২১-এর আগে চাইছে না বিজেপি।