মমতা সংখ্যালঘু উন্নয়নে ব্যর্থ বলেই এত ক্রিমিনাল! আফরাজুল-প্রশ্নে নিশানা দিলীপের
রাজ্যে এত মানুষ খুন হচ্ছেন, কই কোনও তৃণমূল নেতাকে তো মিছিল করতে দেখিনি, তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
মালদহের আফরাজুলের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তোষণের রাজনীতি করেছ বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'রাজ্যে এত মানুষ খুন হচ্ছেন, কই কোনও তৃণমূল নেতাকে তো মিছিল করতে দেখিনি, তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি। তবে আফরাজুলের বেলায় এত ন্যাকামি করা হচ্ছে কেন? আফরাজুল সংখ্যালঘু বলে!'
[আরও পড়ুন:কংগ্রেসকে নিয়ে বিভাজন সিপিএমে, পলিটব্যুরোর বৈঠকে 'পার্টি-লাইন' নির্ধারণে তুলকালাম]
বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, 'রাজ্য সরকার নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতেই এসব করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতি করছে। সত্যিই যদি সরকার তাঁদের সামাজিক অবস্থা বুঝত, তাহলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। এত সংখ্যালঘু মানুষকে পেটের টানে ভিনরাজ্যে যেতেও হত না, আর অপরাধও বাড়ত না।'
দিলীপবাবুর অভিযোগ, 'সংখ্যালঘুদের পিছিয়ে থাকার জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ দায়ী। তারা শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংখ্যালঘুদের ভোটের জন্য ব্যবহার করে। আদতে তাঁদের জন্য কোনও উন্নয়ন করেনি। তাঁদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেনি। সেই কারণেই রুটি-রুজির জন্য তাঁদের ভিনরাজ্যে যেতে হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য সত্যিই হামদরদী হলে এত সংখ্যালঘু ক্রিমিনাল তৈরি হত না।'
বিজেপি রাজ্য সভাপতির কথায়, 'রোজ মারামারি কাটাকাটি হচ্ছে। দিনদুপুরে গুলি চলছে, রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। গত তিনমাস ২২ জন রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছে। এদের বেশিরভাগই তৃণমূলের নেতা-কর্মী। সম্প্রতি খুন হলেন একজন পুরসভার চেয়ারম্যানও। তখন তৃণমূল তো কই কারও বাড়িতে গিয়ে সহানুভূতি দেখায়নি, আর্থিক অনুদান তুলে দেয়নি? কোনওদিন তো 'যুবরাজ'কে দেখিনি রাস্তায় নামতে? আসলে এসব হচ্ছে আফরাজুল সংখ্যালঘু বলেই।'
তিনি এদিন বলেন, 'সংখ্যালঘুরা পিছিয়ে আছে বলেই এত ক্রিমিনালের সংখ্যা বাড়ছে। মাত্র দেড় শতাংশ সংখ্যালঘু চাকরি পায় রাজ্যে। তারপর চালাকি করে ওবিসি করে দেওয়া হয়েছে সংখ্যালঘুদের। এখন নিজেদের অসফলতা ঢাকতে ন্যাকামির রাজনীতি করা হচ্ছে।' তাঁর কথায়, 'যেকোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। যেকোনও খুনই নিন্দনীয়। আর তাকে নিয়ে রাজনীতি করাও একইরকম নিন্দাজনক। মমতার সরকার সেই কাজটাই করে চলেছে।'