‘থার্ড বয়’ বিজেপি! তিনপক্ষের ভোট কেটে বেজায় খুশি দিলীপের বার্তা মানসকে
মানসবাবুর অন্তত ২০ হাজার ভোট বিজেপি কেটে নিয়েছে বলে তত্ত্ব খাড়া করলেন দিলীপ ঘোষ। তাহলে এটা আপনার জয়, না পরাজয়? দিলীপের প্রশ্ন মানসকে।
সবংয়ের 'পরীক্ষা'য় তৃতীয় হয়েই বেজায় খুশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মানসবাবুর অন্তত ২০ হাজার ভোট বিজেপি কেটে নিয়েছে বলে তত্ত্ব খাড়া করলেন তিনি। সেইসঙ্গে বার্তা দিলেন- 'অত খুশিতে নাচবেন না মানসবাবু, আপনার ২০ হাজার ভোট বিজেপি প্রার্থী পেয়েছে। তাহলে এটা আপনার জয়, না পরাজয়?'
[আরও পড়ুন:সবং বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতল তৃণমূল, গীতারানি হারালেন মানসের ব্যবধানকেও]
সবং উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর দিলীপবাবু বলেন, 'আমাদের ভোট এক লাফে ২ থেকে ২০ শতাংশ বেড়েছে। এই ভোটবৃদ্ধিই জানিয়ে দিচ্ছে, বিজেপির শক্তি বাড়ছে বাংলায়। তাই এতে মানসবাবুর খুশি হওয়ার কোনও কারণ নেই। সবংয়ে যেখানে ২০১৬-য় মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজার ভোট পেয়েছিলাম আমরা। আর এবার ৩৭ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়েছি। এই ভোটবৃদ্ধি আমাদের আগামী দিনের লড়াইয়ে উৎসাহ দেবে।'
দিলীপবাবু বলেন, 'জয়ের ব্যবধান বাড়লেও, গতবার মানসবাবু যা ভোট পেয়েছিলেন, তার তুলনায় গীতাদেবীর প্রাপ্ত ভোট কমেছে।' তাই জিতলেও উচ্ছ্বাসের কোনও কারণ নেই বলে দিলীপ ঘোষের যুক্তি। এদিন ভোট বাড়লেও তৃতীয় স্থানে থাকা নিয়ে ঈষৎ আক্ষেপ ঝরে পড়ে তাঁর গলায়। তবে যা হয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে ভাবতে রাজি নন দিলীপ।
বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, 'মানসবাবুর যা ভোট কমেছে, তা বিজেপির কাছে এসেছে, আবার অন্যদের ভোটও এসেছে বিজেপির ভোটবাক্সে। সাড়ে পাঁচ থেকে ৩৭ হাজার- একটা বড় জাম্প। তবে আমাদের দ্বিতীয় স্থানে থাকা উচিত ছিল, তা হয়নি। দুর্বল সংগঠন নিয়েও আমরা যে লড়াই দিয়েছি, তা ভবিষ্যতের বৃহত্তম লড়াইয়ের সূচনা করছে।'
মুকুল-ফ্যাক্টর নিয়ে দিলীপবাবু বলেন, 'কোনও একজন ব্যক্তি ভোটে হারাতেও পারেন না, জেতাতেও পারেন না। মুকুলদা আসায় বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে, এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। বিজেপিতে সংগঠনটাই প্রথম, আর ব্যক্তি ফ্যাক্টর হল সেকেন্ডারি অপশন। আমরা খতিয়ে দেখব, কী হল কী হল না। তারপর একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছব। এবং পরবর্তী লড়াইয়ের কৌশল স্থির করব। আমাদের টার্গেট পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানেই দেখা যাবে, কার জয়, কার পরাজয়।'
[আরও পড়ুন:প্রথম দফায় যুদ্ধে হেরে মুকুল-গর্জন, এবার তৃণমূলের 'কেষ্ট'কে বুঝে নেওয়ার দাওয়াই]