মোদী মঞ্চ থেকে নামতেই প্রবল বাক-বিতণ্ডা দিলীপ-বাবুলের, আড়াআড়ি দু’ভাগ বিজেপি
প্রধানমন্ত্রীর সভা বলে কথা, কেন সমর্থকদের নিরাপত্তার জন্য সঠিক ব্যবস্থা হল না, তা নিয়েই মঞ্চের সামনে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন দিলীপ ঘোষ ও বাবুল সুপ্রিয়।
নরেন্দ্র মোদী তখন ভাষণ দিচ্ছেন কৃষক কল্যাণ সমাবেশে, তখনই হঠাৎ প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল প্যান্ডেলের একাংশ। লোহার বিম, ত্রিপল আর সামিয়ানায় চাপা পড়ে গেলেন সমর্থকরা। কেন সমর্থকদের নিরাপত্তার জন্য সঠিক ব্যবস্থা হল না, তা নিয়েই মঞ্চের সামনে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লেন দিলীপ ঘোষ ও বাবুল সুপ্রিয়।
মেদিনীপুরে সভা নিয়ে আড়াআড়ি দু'ভাগ হয়ে গেল বিজেপি। এই দুর্ঘটনার দায় কার, তা নিয়েই চাপান-উতোর চলতে থাকে বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে। একে অপরের উপর দোষ চাপাতেই ব্যস্ত। সভা শেষে আহতদের দেখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন হাসপাতালে গিয়েছেন, তখনই রাজ্য নেতৃত্ব মঞ্চেই বৈঠকে বসেন দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে।
তখনই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভা, বহু জনসমাগাম হবে, তাই আরও নিরাপদ ব্যবস্থা করা দরকার ছিল। তার প্রত্যুত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, আপনারও আগে এসে দেখভাল করা উচিত ছিল। এই বিতর্কের মধ্যে অবশ্য দুর্ঘটনার দায় নিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এদিন সাফ করে দিয়েছেন সেই কথা। কিন্তু সেইসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথাতে তিনি যে অসন্তুষ্ট তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানান, পুরুলিয়াতে এইরকম ব্যবস্থা করেই অমিত শাহের সভা হয়েছিল। তখন কোনও সমস্যা হয়নি। এবার প্রবল বৃষ্টির কারণেই মাটি বসে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
এইসময় বাবুল সুপ্রিয় রাজ্য নেতৃত্বর আরও সজাগ থাকার বার্তা দেন। তাতেই অসন্তুষ্ট হন দিলীপ ঘোষ। তিনি বাবুল সুপ্রিয়কে পুরো বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এমনও কথা বলেন যে, আপনার আগে এসে তত্ত্বাবধান করা উচিত ছিল। আপনি কেন আগে এসে সমস্ত ব্যবস্থা দেখে গেলেন না। হওয়া তো অনেক কিছুই উচিত। এই নিয়েই মোদীর সভা শেষে রাজ্য বিজেপিতে স্পষ্ট হয় বিভাজন।
তবে রাজ্য নেতৃত্ব এদিন জানিয়ে দিয়েছে, আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি, কী কারণে এতটা সমস্যা হল। কারও কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে আহতদের পাশে থাকছে দল। তাঁদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যবস্থা নেবে রাজ্য বিজেপি, তাও জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।