এনআরসি হবেই, আগামী নির্বাচনে দিদিমণি হারবেন, কড়া আক্রমণ দিলীপের
এনআরসি হবেই, আগামী নির্বাচনে দিদিমণি হারবেন, কড়া আক্রমণ দিলীপের
দিদিমণির কথাতে লাফালাফি করে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। এনআরসি হবেই। দিদিমণির সব কাজে বাগরা দেওয়ার অভ্যাস আছে। তারপর তিনি সব কিছু মেনে নেন। জিএসটি-র ক্ষেত্রেও তা হয়েছে, নাগরিকত্ব আইনের ক্ষেত্রেও একই রকম হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে একটি সভাতে এই কথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
এই দিন কেন্দ্র কেন নাগরিকত্ব আইন এনেছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন যে যারা এই দেশে বাস করছেন তাদের কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না।
মুসলমানদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না। মুসলমানদের ভুল বোঝাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের বের করে দেওয়া হবে আর যারা বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশে অত্যাচারের শিকার হয়ে এই দেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এখন যারা লুঙ্গি পরে লুঙ্গি ডান্স করছে আগুন লাগাচ্ছে তারা অনুপ্রবেশকারী ও তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট ব্যাঙ্ক । তাই মুখ্যমন্ত্রী এখন তাদের রাখার জন্য চেঁচামেচি করছেন। সংবিধান রক্ষা করার শপথ গ্রহণ করে তিনি এখন কি করে সংবিধানের ও আইনের বিরোধিতা করেন? দিদিমণি তো দেশের আইন, সংবিধান, সুপ্রিম কোর্ট কিছুই মানছেন না। যারা এখন এই দেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে এত কথা বলছেন তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর অত্যাচার নিয়ে চুপ ছিলেন কেন বলে প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।
একসঙ্গে তিনি বলেন যে জহরলাল নেহেরু, বল্লভভাই প্যাটেল থেকে শুরু করে ইন্দিরা গান্ধী সবাই এই সব উদ্বাস্তু মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন কিন্তু তারা কেউ এই আইন চালু করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
দিলীপ বলেছেন, এখানে যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিজেপিকে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই রাজ্যেও এনআরসি হবেই। দিদিমণি আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জিততে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।