অগ্নিগর্ভ পাহাড় নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের, কী বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি
পাহাড়ে অশান্তির পর এতদিন রাজ্য বিজেপি মুখে কুলুপ এঁটেছিল। এবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিজেপি। প্রথমে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, এখন রাজ্য সভাপতি দিলীপ
অগ্নিগর্ভ পাহাড় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বাঘের বাচ্চা, সিংহের বাচ্চা বলে দাবি করেন। তাহলে পাহাড়ে আগুন জ্বলতেই বিড়ালের মতো পালিয়ে এলেন কেন?'
তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যদি সত্যিই বাঘের বাচ্চা হতেন, তাহলে অশান্ত পাহাড়ে গিয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই চালাতেন। বেড়ালের মতো দার্জিলিং ছেড়ে কলকাতায় পালিয়ে যেতেন না। শুধু মুখ্যমন্ত্রীই নন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পালিয়ে যায় তাঁর পুলিশও। এখন সেনার উপর ভরসা করে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী- কখন সেনা আসবে, পাহাড়কে হিংসামুক্ত করবে।'
পাহাড়ে অশান্তির পর এতদিন রাজ্য বিজেপি মুখে কুলুপ এঁটেছিল। এবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে বিজেপি। প্রথমে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, এখন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাহাড় নিয়ে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই এদিন সেই অভিযোগের জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, পাহাড়ের হিংসার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই বাংলা ভাষা নিয়ে মোর্চাকে ইন্ধন দিয়েছেন অশান্তিতে। তার জেরেই এখন গোর্খাল্যান্ডের দাবি সামনে চলে এসেছে। এই দায় কিছুতেই এড়াতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি
আরও
বলেন,
'পাহাড়ে
মোর্চার
আন্দোলনের
যে
পরিমাণ
ক্ষতি
হয়েছে,
তার
দায়
নিতে
হবে
সরকারকেই।
মোর্চা
তাদের
রাজনৈতিক
ভিত
শক্ত
করার
জন্য
লড়াই
চালাচ্ছে।
লড়াই
চালাচ্ছে
জন
সমর্থন
বাড়ানোর
জন্য।
রাজ্য
সরকার
ও
মোর্চা
নেতৃত্ব
কেউই
নমনীয়
হতে
রাজি
নয়।
এই
অবস্থায়
পাহাড়কে
শান্ত
করতে
জরুরি
ত্রিপাক্ষিক
বৈঠক
ডাকা।
সেই
বৈঠক
ডাকতে
হবে
রাজ্যকেই।
এদিন
মোর্চার
আন্দোলনে
বিদেশি
শক্তির
হাত
নিয়েও
মুখ্যমন্ত্রীর
সমালোচনা
করেন
দিলীপ
ঘোষ।
যদি
এই
সংক্রান্ত
কোনও
প্রমাণ
রাজ্যের
কাছে
থেকে
থাকে,
তাহলে
কেন
ব্যবস্থা
নিচ্ছেন
না
মুখ্যমন্ত্রী?
অহেতুক
ফাঁকা
আওয়াজ
দিয়ে
রাজনীতি
করার
অবস্থা
এখন
নেই
পাহাড়ে।
পাহাড়ের
পরিস্থিতি
দিন
দিন
খারাপের
দিকে
যাচ্ছে।
তাঁর
আবেদন,
এবার
ধ্বংসাত্মক
রাজনীতি
বন্ধ
করুন
মুখ্যমন্ত্রী।
এবার
পাহাড়
সমস্যা
সমাধানে
ইতিবাচক
ভূমিকা
নিন।