মুকুল-ঘনিষ্ঠ সৌমিত্রের মাথায় দিলীপের হাত! বিরোধ ভুলে, একুশের আগে ‘গাঁটছড়া’
মা দুর্গাই দেখালেন পথ। ২০২১-এর আগে মিলে গেলেন দুই হেভিওয়েট নেতা। বিজয়া দশমী উভয়কে এক করে দিল সমস্ত বিরোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে। বাংলার সবথেকে বড় উৎসব চলাকালীন বঙ্গ বিজেপিতে যে কোন্দলের বাতাবরণ শুরু হয়েছিল এবং তার জেরে যে ভাঙনের রূপরেখা প্রস্তুত হচ্ছিল, তা থেকে মুক্তি মিলল বিজেপির।

বৃহত্তর স্বার্থকেই গুরুত্ব দিলীপ-সৌমিত্রর
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও যুব মোর্চার সভাপতির এই মিলকে মধুরেণ সমাপয়েৎ বলে মনে করছেন। সমস্ত বিবাদ-বিতর্ক ভুলে ২০২১-এর আগে দিলীপ ঘোষ ও সৌমিত্র খানম বৃহত্তর স্বার্থকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। ঝগড়া মিটিয়ে আবার সবকিছ নতুন করে গড়তে সম্মত হয়েছেন তাঁরা।

সৌমিত্রের মাথায় দিলীপের হাত
বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বিজয়া দশমীতে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণামের পরই ঘূচল দ্বন্দ্ব। দিলীপবাবু ভাতৃসম সৌমিত্রকে স্নেহের আশিস দিলেন। মাথায় রাখলেন হাত। ফলে মুকুল-ঘনিষ্ঠ সৌমিত্র খাঁ তাঁর ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে অভিমান ঘুচিয়ে ফেললেন।

ঘুচল ভালবাসার মানুষের সঙ্গে অভিমান
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে সৌমিত্র খাঁ পায়ে হাত দিয়ে বিজয়া সারার পরই সন্ধি স্বাক্ষরিত হল উভয়ের। সৌমিত্র স্বীকার করে নিলেন ভালবাসার মানুষের সঙ্গে অভিমান হয়েছিল তাঁর। সেই অভিমান আর নেই। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও উপহার বিনিময়ের পর দুজনেই খুব খুশি। সব তিক্ততার অবসান হয়েছে বিজয়া দশমীতে

মা দুর্গার কৃপা! একতা ফিরেছে বিজেপিতে
সৌমিত্র খাঁ ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশের কয়েকঘণ্টা পর দলে প্রত্যাবর্তন করেই মা দুর্গার কাছে দিশা দেখানোর জন্য প্রার্থনা করেছিলেন বলে জানান। তিনি বলেন, দল হল তাঁর কাছে পরিবারের মতো। সেখানে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাই তিনি মা দুর্গার কাছে দিশা দেখানোর জন্য প্রার্থনাও করেছিলেন। বিজয়ায় মা দুর্গা সেই প্রার্থনা শুনেছেন। আবার একতা ফিরেছে বিজেপিতে।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপেই উভয়ে একত্রিত!
সৌমিত্র খাঁ যাবতীয় তিক্ততা ভুলে আগামী নির্বাচনের জন্য আশীর্বাদ চেয়ে নেন দিলীপ ঘোষের কাছে। পাশাপাশি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সুস্থতাও কামনা করেন। দুজনে উপহার বিনিময়ও করেন। ২০২১-এর আগে এই চিত্র বিজেপির পক্ষে সদর্থক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের চাপেই উভয়ে একত্রিত হন।

জেহাদ ঘোষণার পর দিলীপ-সকাশে বিজয়া
সৌমিত্র খাঁয়ের ঘোষিত যুব মোর্চার কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তারপরই রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেন সৌমিত্র। যদিও পরে তিনি প্র্ত্যাবর্তন করেন বিজেপিতে। মুকুল রায় বা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ও তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি। তাই ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশের কয়েকঘণ্টা পরে প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি দিলীপ সকাশে এসে বিজয়াও সারেন তিনি।

মুকুলকে 'শিক্ষা’ দিতেই দিলীপের টার্গেটে সৌমিত্র! শেষে বঙ্গ বিজেপির সমীকরণ যা দাঁড়াল