মুকুল-পন্থীরা পদ পেয়েছেন বিজেপিতে, আদি নেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন দিলীপ ঘোষ
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে-পরে বিজেপিতে ভিড় বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের। মুকুল রায়ের হাতে ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের অনেকেই আজ বিজেপিতে পদাধিকারী। এই আঙ্গিকেই আদি বিজেপি নেতারা প্রশ্ন তুললেন, নব্যরাই যদি সব পদ আগলে থাকবে, তাঁরা দলের হয়ে এতদিন কাজ করে আর কী পেলেন!

দিলীপ-লকেকটে ঘিরে বিক্ষোভ নেতা-কর্মীদের
শুধু প্রশ্ন তুলেই তাঁরা ক্ষান্ত নন, বিজেপির বিক্ষুব্ধ আদি নেতারা দলে কোণঠাসা হয়ে এই প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন খোদ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাধারণ সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। বিজেপি নেতারা তাঁদের ঘিরে ধরে এই প্রশ্ন করেন। এবং তাঁদের কাছে থেকে জবাব চান, তাঁরা এখন কী করবেন? তাঁরা কি এভাবে দলের হয়ে খেটেই যাবেন, বিনিময়ে কিছুই পাবেন না?

নিচুতলা থেকে উপরতলা মুকুলপন্থীদের ভিড়
সম্প্রতি বিজেপি রাজ্য সভাপতি ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা গিয়েছিলেন হুগলির একটি সভায় যোগ দিতে। সেখানেই তাঁদের এই প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়। দিলীপ-লকেটকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীরা বলেন, নিচুতলা থেকে শুরু করে উপরতলা পর্যন্ত যে সমস্ত নেতানেত্রীরা পদ পেয়েছেন, সবাই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা এসেই পুরস্কার পাচ্ছেন, আমরা কবে পাব আমাদের কাজের পুরস্কার।

বিজেপিতে নাম লিখিয়ে নেতা বনে যাচ্ছেন অনেকে
তাঁদের আরও ক্ষোভ, যাঁরা আমাদের উপর আক্রমণ শানিয়েছিল, তাঁরাই এখন বিজেপিতে নাম লিখিয়ে নেতা বনে গিয়েছে, আমরা পড়ে আছি সেই একই জায়গায়। দিলীপ ঘোষের সামনে নাম করে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের পদ থেকে সরানোর আর্জি করেন বিক্ষোভকারীরা। এর ফলে বিজেপি ঘোর অস্বস্তিতে পড়েছে।

নব্য নেতাদের পদ থেকে অপসারণের দাবি
তাঁরা এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, যদি এমনটাই চলতে থাকে, তাঁদেরকেও অন্য রাস্তা দেখতে হবে। ভোটবাক্সেও তার প্রভাব পড়বে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিদ্রোহী নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলেন, আমরা চাই ওইসব নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। আমরা সেই ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি করে আসছি, আজও আমরা কোনও পদ পেলাম না। ওরা বছর ঘুরতে না ঘুরতেই পদ পেয়ে গেল। এ কেমন বিচার!

তৃণমূল নেতাদের উসকানিতেই বিক্ষোভ! প্রশ্ন
যদিও বিজেপি এই বিক্ষোভকে আমল দিতে চাইছে না। বিজেপি জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা বিজেপির কেউ নন। তাঁরা আসলে তৃণমূলের লোক। তৃণমূল নেতাদের উসকানিতেই ওই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। অযথা আমাদের হেয় করার চেষ্টা করছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

২০২১-এর ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে সঙ্ঘপ্রধান আসছেন বাংলায়! বৈঠক ঘিরে জল্পনা
{quiz_339}