বিজেপিতে সমান্তরাল সংগঠন চালাচ্ছেন সৌমিত্র! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ দিলীপের
দিলীপ ঘোষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। এরপরই বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা দিলীপ ঘোষকে ফোন করতেই বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। খোদ রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করলেন দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। কেন সৌমিত্রর গড়া কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে তার ব্যাখা জানাতেই গুড়গুড় করে ফিরে এলেন ইস্তফার ইচ্ছায় জলাঞ্জলি দিয়ে।

সৌমিত্র খাঁ সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করছিলেন?
রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমিত্র দলের হোয়াটসঅ্যাপ ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করে গ্রুপ থেকে লেফট্ হয়ে যাওয়ার পর কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও শিব প্রকাশ দিলীপ ঘোষকে ফোন করেন। দিলীপ তাঁদের সাফ জানিয়ে দেন, সৌমিত্র খাঁ সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করছিলেন। তাই কমিটি ভেঙে দিয়েছেন তিনি।

সৌমিত্র নাটকের যবনিকা পতন
দিলীপ ঘোষের কড়া বার্তার পর সৌমিত্র খাঁ নাটকের যবনিকা পতন ঘটান। তিনি ভোলবদলে ফের ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি পদে। ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই সেই ইচ্ছায় জলাঞ্জলি দিয়ে ফিরে আসেন। এবং তৃণমূলকে হারানোর বার্তা দেন একযোগে।

সৌমিত্র খাঁয়ের প্রত্যাবর্তন বার্তা
যুব মোর্চার সভাপতি পদে ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশের কয়েকঘণ্টা পরে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ হোয়াটস অ্যাপ লেখেন- কোনও কমিটি চেঞ্জ হচ্ছে না। আর তোমাদের ছেড়ে থাকাও সম্ভব নয়। তাই ফিরে এলাম। টিএমসিকে হারানোর জন্য সব কিছু ত্যাগ করতে রাজি আছি। জয় শ্রীরাম, জয় মা দুর্গা, বিজেপি জিন্দাবাদ, মোদীজি জিন্দাবাদ।

দিলীপের কণ্ঠে কটাক্ষের সুর সৌমিত্র প্রসঙ্গে
সৌমিত্রর ওই বার্তার পর দিলীপ ঘোষ তির্যক সুরেই বলেন ও কখন গিয়েছে, কখন ফিরেছে কিছুই জানি না। সবটাই হোয়াটসঅ্যাপে হয়েছে। এ বিষয়ে যা ঠিক হওয়ার, সব হবে পুজোর পর। এখন এই পর্যন্তই। দিলীপ তাঁর কথায় বুঝিয়েই দেন তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন। অর্থাৎ সৌমিত্রর কমিটি চেঞ্জ না হওয়ার বার্তাই সার।

সৌমিত্র নাটক করছেন, বিজেপিতে তোপের মুখে
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর সামান্য কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি রেয়াত করবেন না সৌমিত্রর সমান্তরাল সংগঠন গড়ে তোলার চেষ্টা। আর দিলীপের সেই কড়া মনোভাবের সূত্র ধরেই বিজেপির অপর এক শীর্ষ নেতা সৌমিত্রকে বেঁধেন তির্যক সুরে। তিনি বলেন, সৌমিত্র নাটক করছিল। যাবে কোথায়? কোনও কথা শোনে না। দলের মধ্যে সমান্তরাল সংগঠন তৈরি করছিল ও।

পদত্যাগে ঢাকি-ঢুলি সব যাবে, ভোলবদল সৌমিত্রর
সৌমিত্র বুঝে গিয়েছেন তাঁর মানে মানে ফিরে আসাই ভালো। ইস্তফা দিয়ে কোনও লাভ নেই। পরে আলোচনা সাপেক্ষে যা হওয়ার হবে। কিন্তু পদত্যাগ করলে ঢাকি-ঢুলি সব যাবে। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে তাঁর পাশে নেই মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-কেউই। এমনকী মুকুল-অনুগামী দলের অন্যান্যরাও সমালোচনা করেন তাঁর।