বিশ্বভারতীর ঘটনার পিছনে অনুব্রত ও রাজ্যসরকার, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
বিশ্বভারতীর ঘটনার পিছনে অনুব্রত ও রাজ্যসরকার, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
বিশ্বভারতী পাঁচিল ভাঙার পিছনে তৃণমূল জেলা সভাপতির পাশাপাশি এই রাজ্যের সরকারও রয়েছে। এদিন হাওয়া স্টেশনে এসে এমনটাই মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বলে একদিকে যেমন সুরক্ষা দেওয়া হয়নি, অন্যদিকে তার বিরোধিতা করাটা এই সরকারের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কটাক্ষ
দিলীপ ঘোষ বলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা আর আইনশৃঙ্খলা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে সোমবারে বিশ্বভারতীর ঘটনা, তারই প্রমাণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
জেলা সভাপতি ও বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। আর বিধায়ক ভাঙচুরের ঘটনায় রয়েছেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমি রক্ষার জন্য পাঁচিল দিচ্ছিল।
কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি
সোমবারের ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় তিনি পুলিশ প্রশাসনকেও একহাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে ঘটনাটি দেখেছে। তাই তারাও রাজনীতিক উর্ধ্বে নয়। তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর বহু জমি জমি মাফিয়ারা দখল করে নিয়েছে। জমি দখলে এইসব নেতার ইন্ধন রয়েছে। অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
উপাচার্যের পাশে দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার আছে জমিকে রক্ষা করার। কারও অসুবিধা থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। গায়ের জোর লাগানোটা নৈতিক ব্যাপার নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। উপাচার্য জমির ওপর দাঁড়িয়ে কাজ করাচ্ছেন। যদি তা নিয়ে মামলা হয়, তাহলে ধরে নেওয়া যায়, এখানে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিরপেক্ষভাবে চলতে পারবে না। সেটা পুরোপুরি তৃণমূলে পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে।
দিলীপ ঘোষের অভিযোগ রাজ্যের হাতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, সেগুলি সব তৃণমূলের পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে। সেখানকার ভিসিরা গিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ধর্নায় বসেন। দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এইসবে রাজি না হওয়ায় তাঁকে সুযোগ বুধে হেনস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
' ব্লো টু গান্ধী ফ্যামিলি', পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই আক্রমণাত্মক নাড্ডা